সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা আসসালামু আলাইকুম।
বর্তমানে আপনি আমি সবার স্মার্টফোন এর জন্য যদি কোনো অ্যাপ অথবা সফটওয়্যার প্রয়োজন হয় তখন আমরা সবাই প্রথমে যে জিনিসটির কথা মাথায় আসে সেটি হলো গুগল প্লে-স্টোর।যেকোনো অ্যাপ আমরা গুগল প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করে ব্যাবহার করতে আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি।আপনি জানলে অভাক হবেন যে এইসব অ্যাপ গুলো গোপনে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে যেতে সক্ষম।তবে যদি আপনি Apple Mac অথবা IOS ব্যাবহারকারী হন তাহলে অন্য বিষয়।কিন্তু আপনি কি জানেন এই ডাউনলোড করা অ্যাপ গুলো হতে পারে আপনার বড় ধরণের ক্ষতির কারণ।চলুন জেনে নেই।
আজকের আর্টিকেলে আপনারা জানতে পারবেন কীভাবে গুগল প্লে স্টোর থেকে নিরাপদ অ্যাপ ডাউনলোড করবেন, ফেইক ও ঝুকিপূর্ণ অ্যাপ থেকে দূরে থাকবেন, এবং ভালো মানের অ্যাপ ডাউনলোড করবেন।
তাহলে আসুন জানি এই এন্ড্রোয়েড অ্যাপ বা সফটওয়্যার গুলোকে কেন ক্ষতিকর।আর কোন গুলো ক্ষতিকর।
এন্ড্রোয়েড অ্যাপ কেন ক্ষতিকর? কোন অ্যাপ গুলো ক্ষতিকর?
স্মার্টফোন এর অ্যাপ গুলো ক্ষতিকর কিন্তু সব অ্যাপ কিন্তু ক্ষতিকর নয়।আপনি হয়তো লক্ষ করে থাকবেন যখন আমরা একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে যাই তখন অনেক কিছুর পারমিশন চাই যেমন ধরেন আপনার ফোনের ক্যামেরা, কল, গ্যালারী, ফোন সেটিংস, সহ ফোনের বিভিন্ন বিষয় পারমিশন নিবে।এই অ্যাপস গুলোয় মূলত ক্ষতিকর কারণ এই বিষয় পারমিশন দেওয়ার কারণে এই সব কিছুর তথ্য তাদের কাছে চলে যাবে।
এছাড়াও স্মার্টফোন এর গেম গুলোতে বর্তমানে কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে প্রায় সব শ্রেণীর মানুষ আসক্ত।আর এই আসক্তি কারনে তারা নিজেদের অজান্তে ক্যান্সার এর মতো কঠিন রোগ তৈরী করছে।এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার আরেকটি আর্টিকেল আছে সেটি পড়ে আসতে পারেন।বিস্তারিত তথ্যের জন্য এখানে ক্লিক করুন
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে এইসব তথ্য দিয়ে তারা কি করবে।তাদের লাভ কী?চলুন তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাকি আলোচনায় চলে যাব।
গুগল প্লে-স্টোর এর অ্যাপকে দেওয়া পারমিশন কতটা ক্ষতিকর?
আচ্ছা আমি আপনার কাছে যদি জানতে চাই আপনি সম্পূর্ণ ফ্রিতে আমাকে এক টাকা দিয়ে একটি চকলেট দিবেন তাহলে উত্তর আসবে অবশ্যই না।এটি আপনি কখনোই দিবেন নাহ।
ঠিক এমনই গুগল প্লে-স্টোর এর যে অ্যাপ গুলো রয়েছে তারা কি নিজের স্বার্থ্য ছাড়াই ফ্রিতে অ্যাপ গুলো দিয়ে দিছে? এই প্রশ্নটি কখনো ভেবে দেখেছেন? তারা এত পড়ালেখা শিখে এত প্রোগ্রামিং শিখে এত এত সুবিধা দিয়ে অ্যাপ গুলো তৈরী করেছে তাদের লাভ কিহ এতে?
তারা Google Play Store এর অ্যাপ গুলো থেকে দুটি উপায়ে টাকা ইনকাম করে।চলুন জেনে নেই উপায় গুলো কী কী?
গুগল প্লে স্টোর এর অ্যাপ থেকে কী কী উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায়
আমরা যখন মোবাইলে গেম খেলি অথবা অন্য কোনো অ্যাপ ব্যাবহার করি তখন দেখবেন মাঝে মাঝে আমাদের সামনে বিভিন্ন বিঞ্জাপন চলে আসে মূলত এই বিঞ্জাপণ গুলো আসে গুগল এডসেন্স থেকে এবং এতে করে Google Absence অ্যাপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তিকে পেমেন্ট করে। আরেকটি উপায় হলো একটি অ্যাপ ডাউনলোড এর সময় দেখবেন আপনার ফোন কল, মেসেজ, লোকেশন, ডিভাইস এর ডিটেলস সহ বিস্তারিত তথ্য নেয় এবং এই কথ্য গুলো ভালো দামে বিক্রি করে ইনকাম করে।
তাই একটি অ্যাপ ডাউনলোড এর সময় যেসব সতর্কতা অবলম্বন করবেন সেগুলো জেনে নেই?
অ্যাপ ডাউনলোডের পূর্বে সেসব দিক মাথায় রাখতে হবে?
যেহেতু অ্যাপ ডাউনলোড এর সাথে আপনার ব্যাক্তিগত তথ্য জড়িত আছে তাই অবশ্যই এই কাজে আপনাকে সাবধান হতে হবে।হ্যাকাররা মূলত এইভাবে আপনার ব্যাক্তিগত চুরি করে।
তাই আপনি অ্যাপ গুলো ডাউনলোড এর কি কি অনুমতি চাচ্ছে দেখে নিবেন।যদি দেখেন একটি গেম অ্যাপ ডাউনলোড করতে চান আর সেখানে যদি দেখেন আপনার মোবাইল এর কল এর পারমিশন চায় তাহলে এটি একটি সন্দেহ জনক এবং এড়িয়ে যাওয়ায় উত্তম।এছাড়া একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার পূর্বে প্রস্তুত কারক কোম্পানীর বিস্তারিত তথ্য ও অ্যাপ এর রিভিউ ও কমেন্ট দেখে নিবেন।তাহলে আপনি নিরাপদ ভাবে ঝুকিমুক্ত একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন।
আমাদের শেষ কথা
এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সাথে বলা হয়েছে কীভাবে Google play Store থেকে নিরাপদে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করবেন।গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডানলোড এর সময় দিক খেয়াল রাখা জরুরি এই সব বিস্তারিত নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল।আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে।এই রকম আরোও প্রয়োজনীয় পোস্ট পেতে আমাদের সাইট ঘিুরে দেখতে পারেন।
ধন্যবাদ