বিশ্ব রেকর্ড যা ২০০০ সাল থেকে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড নামে পরিচিতে।এতে বিশ্ব জুড়ে যত রেকর্ড আছে সব কিছু নথিবদ্ধ থাকে যেখানে বাংলাদেশ এর অসংখ্য রেকর্ড রয়েছে।এই আর্টিকেলে বাংলাদেশ এর কিছু রেকর্ড জানব:
গিনেজ বুকে বাংলার রেকর্ড:
বাংলাদেশের গিনেজ বুকে রেকর্ড:-
সুপার গ্র্যান্ড ফাদার
বগুড়ার ১১৫ বছর বয়সে মারা যাওয়া রজব আলীর নাতি-নাতনীর সংখ্যা ৫০০ জনেরও বেশি যার কারণে সুপার গ্র্যান্ড ফাদার হিসেবে গিনেজ বুকে নাম লেখায়।
বি.দ্র.: বগুড়া শহরটি রজব আলীর নাতি নাতনী দিয়ে গঠিত কিনা বগুড়ার কেউ থাকলে সঠিক তথ্যটি দিয়ে যাবেন কমেন্টে।
পাঁচ ভাই ও পাঁচ বোনের বিয়ে:
পাচ ভাই বিয়ে করেন পাঁচ বোনকে।সময়টি ছিল ১৯৭৭ থেকে ১৯৯৬ সালে।নরেন্দ্রনাথ ও তারা মনি রায় দম্পত্তি পাঁচ মেয়ের সঙ্গে তারাপদ কর্মকার ও খামার রানী রায় দম্পত্তির পাচ ছেলের বিয়ে সম্পন্ন হয়।যেটি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করে।
সবচেয়ে ভারি শিল:
গোপালগঞ্জে ১৪ এপ্রিল ১৯৮৬ শিলা বৃষ্টি হয়েছিল যেটি গিনেজ রেকর্ড এ নাম লিখেয়েছিল জারা যানেন নাহ তাদের কাছে অবাক লাগতে পারে যে শিলা বৃষ্টিতে ওয়ার্ল্ড রেকর্ড? হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটিই সত্য কেননা সেদিন যে শিল পড়েছিল আশ্চর্য জনক হলেও সত্য যে শিল গুলোর কোনোটির ওজন ছিল এক কেজি পর্যন্ত ছিল।আর সেই শিলা বৃষ্টিতে প্রাণ হারায় ৯২ জন জন সাধারণ।
সবচেয়ে কম বয়সী বিবাহ দম্পত্তি:
পাবনার আমিনপুরে দুই পরিবারের দ্বন্ধ মেটাতে ১৯৮৬ সালে ১১ মাসের ছেলের সাথে ৩ মাসের মেয়ের বিয়ে হয়।যেটি গিনেজ রেকর্ডে জায়গা পাই সবচেয়ে কম বয়স দম্পত্তি হিসেবে
বন্যায় গৃহহীন মানুষ:
১৯৯৮ সালে সালে বাংলাদেশে যে বন্যা হয়েছিল তাতে প্রায় ৯৭ শতাংশ এলাকা বন্যা কবলিত হয় এবং ২৫ মিলিয়ন মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে যেটি গিনেজ বুকে জাযগা পায়।
দীর্ঘতম মানব বন্ধন:
সরকারের বিরুদ্ধে অনান্থা প্রকাশে আওয়ামীলিগ ২০০৪ সালের ১১ ডিসেম্বর একটি মানব বন্ধনের আয়োজন করেন।এই মানব বন্ধন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত প্রায় ১০৫০ কিলোমিটার বা ৬৫২ মাইল দীর্ঘ ছিল এবং এতে অংশগ্রহণ করে ৫০ লক্ষ এর বেশি মানুষ।একজন আরেকজন এর হাত ধরে দাড়িয়ে এই রেকর্ডটি করে।
সবচেয়ে বড় স্টেপল পিন এর চেইন:
খন্দকার শিহাব আহমেদ নামে এক ছেলে ২০০৭ সালে ৪২২ ফিট ৪ ইঞ্চি লম্বা দৈর্ঘ্যের স্টেপল পিন চেইন তৈরি করে গিনেজ বুক নাম লেখায়
হাত ধোয়ার রেকর্ড:
২০০৯ সালের ১৫ অক্টোবর হাত ধোয়া দিবসে ৫ লাখ ২৯ হাজার ৭০ জন মানুষ এক সঙ্গে হাত ধুয়ে রেকর্ড করেন যেটি বাংলাদেশ সরকার, ব্র্যাক, ইউনিসেফ, ইউনিলিভার এবং হু এর উদ্দেগ ছিল।
দেশের মানুষ সবচেয়ে পাতলা:
B.M.I (Body Mass Index) ছিল মেয়েদের ২০.৫ অপরদিকে ছেলেদের ছিল ২০.৪।এই গিনেজ রেকর্ডটি বাংলাদেশ করে ২০১০ সালে।
জনসংখ্যার ঘনত্বের রেকর্ড:
গিনেজ রেকর্ড অনুযায়ী ২০১০ সালে বাংলাদেশ এর জনসংখ্যা ছিল ১৬ কোটি ২২ লাখ ২১ হাজার এবং বিপরীতে দেশের আয়তন ৫৫ হাজার ৬০০ বর্গকিলোমিটার।সেই হিসেবে বাংলাদেশ এর প্রতি বর্গকিলোমিটারে বসবাস করেন ২ হাজার ৯’শ ১৮ জন।যেটি গিনেজ বুকে নথিবদ্ধ হয়।
ফুটবল শৈলী:
রোলার স্কেট এর ওপর দারিয়ে ফুটবল মাথায় নিয়ে আব্দুল হালিম পারি দেন ১০০ মিটার।তার এই কাজে সময় লাগে ২৭.৬৬ সেকেন্ডে।২০১৫ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকার রেল স্টেশনে তার কারিশমা দেখান আব্দুল হালিম।যেটি গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করেন।
সাইকেল চালিয়ে রেকর্ড:
১১৮৬ জন এক সারিতে এক সঙ্গে সাইকেল চালিয়ে গিনেজ বুকে রেকর্ড করে বিডি সাইক্লিষ্ট সংগঠন।বিজয় দিবসে সাইকেল চালিয়ে রেকর্ড গড়ার উদ্দ্যাগ নেয় বিডি সাইক্লিষ্ট।
লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত:
২০১৪ সালের ২৬ মার্চ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এর উদ্দ্যগে এবং সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ড করে বাংলাদেশ।যা ১৩ দিন পর গিনেজ বুকে জায়গা পায়।জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড এ ডোকার সময় লোক হয়েছিল সয়ংক্রিয় মেশিন এর তথ্য অনুযায়ী ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬’শ ৮১ জন।এতে ২০১৩ সালের ৬ মে ভারতের সাহারা গ্রুপের আয়োজনে ১ লাখ ২২ হাজার লোকের জাতীয় সংগীত গাওয়ার রেকর্ড ভেঙে নতুন বিশ্ব রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ।
সবচেয়ে উপসাগর:
বঙ্গোপসাগ এর আয়োতন ২১ লাথ ৭২ হাজার বর্গকিলোমিটার যেটি গিনেজ বুক এর মতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় উপসাগর।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট ব্যাট:
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যাট এর দৈর্ঘ্য ১১১ ফুট এবং প্রস্থ ১২.৫ ফুট।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহ নেওয়াজ হলে ৬৭ জন ছাত্র মিলে বিশ্বকাপ উপলক্ষে সবচেয়ে বড় এই ব্যাট বানিয়েছিলেন।যাতে ছাত্রদের ব্যায় হয়েছিল ১৫ দিন।
মানব পতাকা তৈরীর বিশ্ব রেকর্ড:
বাংলাদেশের এর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডস এ জাতীয় পতাকা তৈরী করে ২৭ হাজার ১১৭ জন মিলে যেটি মানব পতাকা নামে পরিচিত এটিতে বাংলাদেশ রেকর্ড করলেও পরে পাকিস্তানের জন্য আমরা হারিয়ে ফেলি।
বঙ্গবন্ধুর শস্যচিত্র
ফসলের খেতে ১০০ বিগা আয়োতন জুড়ে বিশাল ক্যানভাস।যেখানে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এর বিশাল প্রতিকৃতি।যার উদ্দেগ নিয়েছিলেন শস্য পরিষদ।যা গিনেজ বুকে স্থান পায়।
সবচেয়ে বেশি বার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে:
জাতীয় টেবিল টেনিস খেলায় জোবেরা রহমান লীনু চ্যাম্পিয়নশিপে ১৬ বার পুরষ্কার জিতে গিনেজবুকে নাম লেখায়।
ধন্যবাদ