তবে যে যেই কারণেই ব্লগিং করুক না কেন আপনার ব্লগ সাইটটি যদি সার্চ ইন্জিন গুলো (গুগল, ইয়াহু) তে না থাকে তা হলে কিন্তু আপনি ভিজিটর পাবেন নাহ আর ভিজিটর না থাকলে ব্লগিং এর মজা কই? কষ্ট করে আপনি লিখলেন কিন্তু সেটি কেউ পড়ল না তাহলে আপনার লিখাটিই ব্যার্থ।
তাই এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি কীভাবে আপনি আপনার সাইটের ভিজিটর ভাড়াবেন এবং কী কী ভুল এর কারণে আপনার ব্লগিং জীবনে বিপর্যয় নামতে পারে।
ব্লগিং ক্যারিয়ারের কিছু ভুল:
গুছিয়ে আর্টিকেল না লেখা:
একটি বিষয়ে আর্টিকেল লেখার আগে প্রথমে সেই বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন সেই বিষয়ে কীভাবে লিখলে আর্টিকেল এর মান সুন্দর হবে ভিজিটররা পড়তে আগ্রহ বোধ করবে।এরপর লিখা শুরু করবেন চেষ্টা করবেন যেই বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে এবং অন্যদের থেকে খুব ভালো লিখতে কারন এখন অনেক প্রতিযোগিতা চলছে ব্লগিং সেক্টরেও।
1.ভিজিটর বাড়ানোর উপায় (বিস্তারিত)
বানান ভুল:
একটি সাইট এর ভিজিটর ধরে রাখতে ভালো মানের আর্টিকেল এর পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যাতে আর্টিকেল এর মধ্যে বানান ভুল না থাকা এতে করে আপনি ভিজিটর হারাবেন সাইট এর র্যাংক ও হারাতে পারেন।
ইমেজ না দেওয়া:
অনেকে ভালো মানের পোস্ট করেন কিন্তু দেখা যায় সেখানে কোনো ইমেজ দেন নাহ।এটি একটি মারাত্বক ভুল।কারন আপনি যদি একটি ইমেজ ব্যাবহার করেন তাহলে গুগল থেকে এই ইমেজ এর কারনে ইমপ্রেশন, এবং ক্লিক পাবেন।
গুগল সার্চ কনসোলে সাইট সাবমিট:
যারা ব্লগিং দুনিয়ায় নতুন তারা অনেকেই হয়তো জানে নাহ Google search console সম্পর্কে।গুগল সার্চ কনসোল হলো আপনার সাইটটিকে গুগলের সাথে পরিচিত করিয়ে দেওয়া এবং এর মাধ্যমে আপনি আপনার সাইটটির ইম্প্রেশন ক্লিক সহ বিস্তারিত দেখতে পারবেন।
Google search console এ সাইট জমা দেওয়ার নিয়ম (বিস্তারিত)
সাইট এর ডিজাইন:
সাইট এর ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ একটি সাইট এর জন্য।কারন এই ডিজাইন এর উপর সাইট এর ট্রাফিক এডসেন্স এপ্রুভ সহ সকল বিষয় নির্ভর করে।তাই সাইটটিকে এমন ভাবে ডিজাইন করার চেষ্টা করুন যাতে আপনার ভিজিটর আপনার সাইটে এসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে এবং প্রয়োজনীয় জিনিস গুলো যাতে খুব সহজে খুজে পায়।আর সাইটে অবশ্যই সার্চ অপশনটি রাখবেন।
কপি পোস্ট করা:
কপি পোস্ট বলতে বোঝানো হয়েছে আপনি অন্যের পোস্ট নিজের সাইটে কপি করে পেস্ট করা।অথবা রি-রাইট করে পেস্ট করা।এটি একটি ভয়াবহ অপরাধ মনে রাখবেন এটি করলে আপনি কখনো এডসেন্স পাবেন নাহ আর পাওয়ার পর করলেও আপনি এডসেন্স হারাবেন।তাই এটি করা থেকে সাবধানে থাকবেন।
আগ্রহ হারিয়ে ফেলা:
ব্লগারদের একটি কমন সমস্যা হচ্ছে ধীরে ধীরে আমরা ব্লগিং এর প্রতি অনীহা তৈরী হয় এবং আগ্রহ হারিয়ে ফেলি।এতে করে আমরা পোস্ট করা কমিয়ে দেয়।এবং যার কারণে এক পর্যায়ে আমাদের সাইটটি তার র্যাংক হারায় এবং ট্রাফিক কমে যায় এবং ইনকামও কমে যায়।
তাই সাইট এর র্যাংক ধরে রাখতে অবশ্যই নিয়মিত পোস্ট করতে হবে।যেমন ধরেন প্রতি সস্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিনে অথবা সপ্তাহে দুই দিন পোস্ট করলেন।
পোস্টে প্রয়োজনীয় তথ্য না দেওয়া:
একটি পোস্ট লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে আর্টিকেলটিতে যাতে যেই বিষয়ে লিখতাছেন সেই বিষয়ে বিস্তারিত থাকে আর্টিকেলটি বড় করার জন্য অপ্রয়োজনীয় অথবা প্রয়োজনের বাইরে কোনো কিছু না থাকে।এতে করে আপনি আপনার সাইট এর ভিজিটর ও ট্রাফিক দুটোই হাড়াতে পারেন।অনিরিক্ত ঘুড়ানোর প্রয়োজন নাই।
রি-রাইট করা:
অনেকেই বিশেষ করে নতুনদের মধ্যে অনেকেই আছে অন্যের পোস্টকে রি-রাইট করে নিজের সাইটে পোস্ট করেন।রি-রাইট পোস্ট বলতে বোঝায় অন্যের আর্টিকেল থেকে একটি পোস্ট কপি করে সেই পোস্টকে ইডিট করে নিজের সাইটে পোস্ট করা এত করে আপনার আর্টিকেলটি ইউনিক ঠিকই হবে কিন্তু গুগল অনেক স্মার্ট গুগল ঠিকই বুজতে পারবে।এতে করে আপনার এডসেন্স এরও সমস্যা হবে তাই ভুলেও এই কাজটি (রি-রাইট) করবেন নাহ।
অন্যের পোস্ট থেকে ধারণা না নেওয়া:
নতুন ব্লগারদের আরেকটি কমন সমস্যা হলো অন্যের পোস্ট না দেখে লিখা শুরু করে দেওয়া।এই কাজটি কখনোই করবেন নাহ একটি পোস্ট লেখার পূর্বে যেই বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয়ে খুব ভালো করে জেনে বুজে নিবেন প্রয়োজনে অন্যের পোস্ট কয়েক ঘন্টা পড়বেন ভালো ভালো সাইটের পোস্ট গুলো পড়ে নিবেন এতে করে আপনার ঞ্জান বৃদ্ধি পাবে ভিজিটরকে অনেক তথ্য দিতে পারবেন।এতে করে আপনার সাইট সম্পর্কে ভিজিটর এর ভালো ধারণা সৃষ্টি হবে এবং নিয়মিত ভিজিট করবে একই সাথে ইনকাম এবং র্যাংক দুইটাই ভালো হবে।
এস,ই,ও (S, E, O)না করা:
S, E, O এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে Search engine optimization এর সাহায্যে আপনি আপনার সাইটকে গুগলে খুব সুন্দর ভাবে র্যাংক করাতে পারবেন।এসইও করা থাকলে আপনার সাইট এর আর্টিকেলগুলো গুগল প্রথম পাতায় দেখাবে।যার ফলে ভিজিটর বাড়বে।
কমেন্ট:
আপনার ব্লগটি যখন একটি ভালো হতে শুরু করবে তখন দেখবেন অনেকে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আপনার সাইটের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবে তখন আপনি তাদের করা কমেন্টএর রিপ্লাই করবেন এতে করে আপনি আপনার ভিজিটর এর সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরী করতে পারবেন এবং ভিজিটরও আপনার সাইট নিয়মিত ভিজিট করবে।
সোস্যাল শেয়ার বাটন:
অনেকের সাইটে সোস্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার করার বাটন দেই না বা থাকে না।এটি না থাকা খুব বড় ধরণের একটি ভুল।তাই সাইট ডিজাইন অথবা থিম নির্বাচন এর পূর্বে অবশ্যই দেখে নিবেন পোস্ট শেয়ার করার অপশন আছে কিনা কারন যদি শেয়ার করার অপশন না থাকে তাহলে আপনার কোনো পোস্ট ভালো লাগলে ভিজিটর তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারবেন না।
কোয়ালিটিপূর্ণ আর্টিকেল না হওয়া:
অনেক ব্লগারদের মধ্যে আরেকটি কমন সমস্যা হলো একটি বিষয়ে লেখার পূ্র্বে বিস্তারিত না জেনে না বুজে আমরা একটি বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করি আর এতে করে আমাদের সেই বিষয়ে পূর্ণ ঞ্জান না থাকায় আমাদের লেখা আর্টিকেলটি আর তথ্য বহুল ও সুন্দর হয় না কিন্তু গুগলে থাকা অন্য আর্টিকেল গুলো আপনার থেকে তথ্যবহুল হওয়ায় সেগুলো ব্যাংক করবে।তাই আপনি চেষ্টা করুন যাতে আপনার তথ্য গুলো খুব তথ্যবহুল পাঠকদের জন্য উপকারী হয়।
ধন্যবাদ