বর্তমানে যুগের সাথে সব কিছুই আপগ্রেড হচ্ছে সেই সাথে আপগ্রেড হচ্ছে মার্কেটিং প্রক্রিয়া।আগে আমাদের মার্কেটিং করতে হতো মাইকিং করে পরে একটু উন্নত হয়ে আসলো টেলিভিশন এবং মার্কেটিং এর জন্য মাইকিং থেকে টেলিভিশন সুবিধাটা একটু বেশিই পাওয়া গেল আর এখন যুগের সাথে আপগ্রেড হয়ে আসছে ইন্টারনেট এর সাহায্যে মার্কেটিং যা ডিজিটাল মার্কেটিং নামে পরিচিত।এছাড়াও গুগল ট্রেন্ড এ লক্ষ করলে দেখবেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা ব্যাপক।
ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital marketing) বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটা প্ল্যাটফর্ম।বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ।আপনি যদি ব্যাবসায়ী হন আর এই যোগে দাঁড়িয়ে যদি আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে না জানেন তাহলে আমি বলব আপনি বর্তমান যুগ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন।বর্তমানে কোন প্রোডাক্ট বা কোম্পানিকে বিপুল পরিমাণে প্রচার করতে সবার প্রথমে যে মাধ্যমটির ভূমিকা থাকে তা হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং কারণ এর মাধ্যমে একটি কোম্পানি খুব দ্রুত পরিচিত লাভ করে অথবা প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে খুব ভালো সেল আসে।বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
কোন প্রোডাক্ট বা কোম্পানি কে উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে ডিজিটাল মার্কেটিং বিকল্প অন্য কিছু নেই।আপনি শুধু Digital marketing করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনি আপনার প্রোডাক্ট বা কোম্পানি লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন।আপনি যদি একজন ব্যাবসায়ি হোন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং আপনার জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? What is digital marketing? এটি কিভাবে করবেন?
বর্তমানে যুগের সাথে সব কিছুই আপগ্রেড হচ্ছে সেই সাথে আপগ্রেড হচ্ছে মার্কেটিং প্রক্রিয়া।আগে আমাদের মার্কেটিং করতে হতো মাইকিং করে পরে একটু উন্নত হয়ে আসলো টেলিভিশন এবং মার্কেটিং এর জন্য মাইকিং থেকে টেলিভিশন সুবিধাটা একটু বেশিই পাওয়া গেল আর এখন যুগের সাথে আপগ্রেড হয়ে আসছে ইন্টারনেট এর সাহায্যে মার্কেটিং, যা ডিজিটাল মার্কেটিং নামে পরিচিত।
ডিজিটাল মানে ইন্টারনেটের সাথে জড়িত যে কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস।মার্কেটিং শব্দের অর্থ প্রমোট বা প্রচার করা।যার অর্থ দাড়ালো ইন্টারনেটে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি বা প্রডাক্ট কে ছড়িয়ে দেওয়া লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই।
ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করব ও এর সুবিধা
সাধারণত পুরনো মার্কেটিং প্রক্রিয়ায় আপনার কোম্পানি প্রোডাক্ট মানুষের কাছে তুলে ধরতে খরচ এবং সময় দুইটাই প্রয়োজন কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আপনার প্রোডাক্টটি প্রচুর মানুষ এর সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন।
আপনি যে প্রোডাক্টটি বিক্রি করছেন সেই রিলেটেড প্রোডাক্ট গুলি ব্যবহার করে এমন লোক এর কাছে প্রচার করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে আপনার নিঃসন্দেহে সেল পারবে।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে আপনি আপনার ফেসবুক পেজে লাইক ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং করতে কি কি প্রয়োজন হয়?
Digital Marketing এর জন্য আপনাকে কিছু কাজে এবং কিছু টুলস এর প্রয়োজন হবে।চলুন এক নজরে দেখে নেই কি কি জিনিস প্রয়োজন হবে।
প্রয়োজনীয় টুলস
যেহেতু ডিজিটাল মার্কেটিং ইন্টারনেট আর ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস এর সাথে জড়িত তাই অবশ্যই আপনাকে Digital marketing করতে প্রয়োজন হবে একটি শক্তিশালী ইন্টারনেট কানেকশন লাইন, ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারনা আর কম্পিউটার এবং এই সম্পর্কে ধারনা।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য যা জানতে হবে
ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য আপনাকে ইন্টারনেট এর ব্রাউজ করা সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।প্রয়োজনীয় জিনিস নেট থেকে খুজে বের করার দক্ষতা থাকতে হবে এবং অল্প ইংলিশ জানলেই হবে।এটা খুব সহজ কাজ আহামরি কিছু না।
প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হতে হলে যে বিষয় গুলো জানতেই হবে?
এই ডিজিটাল মার্কেটিং এ্রর কতগুলো পার্টস আছে।নিচে এগুলোর পূর্ণাঙগ ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
তাহলে চলুন জানি কি কি বিষয় জানলে আপনি প্রফেশনাল ডিজিটাল মার্কেটার হতে পারবেন।Digital marketing অনেক বড় একটি সেক্টর অনেক বিষয় মাথায় রাখেতে হয়।তার মধ্যে যে বিষয় গুলো না জানলেই নয় সেগুলো নিয়ে আজকে আলোচনা করব।
- ইমেইল মার্কেটিং
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
- ভিডিও মার্কেটিং
- এডভার্টাইজিং
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এস ই ও)
- লিংক বিল্ডিং ইত্যাদি
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং:
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হচ্ছে ইন্টারনেটে গুগলের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট এর ছবি ও বিস্তারিত লিঙ্ক দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অ্যাড দেখানো।এটি একটি খুব ভাল মাধ্যম কারণ যে যে ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তারা সবাই আপনার প্রোডাক্টের অ্যাড দেখতে পাবে।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিঃ
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হ্যালো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, পিন্টারেস্ট, সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোতে আপনার কোম্পানির প্রোডাক্ট মার্কেটিং করা।বর্তমানে সময় 15 বছর থেকে 60 বছরের মানুষ পর্যন্ত 95% বা তার ও বেশী মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছে দৈনিক এবং এটি ব্যবহার করা দৈনিক বেড়েই চলেছে তাই শুধু ফেসবুকে যদি আপনি সঠিকভাবে মার্কেটিং করেন নিঃসন্দেহে আপনার প্রোডাক্টটি খুব বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারবে।
ইমেইল মার্কেটিং:
ইমেইল মার্কেটিং বলতে আমরা যে ইমেইল করি সচরাচর সেটা নয়।ইমেইল মার্কেটিং হচ্ছে আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে খুব সুন্দর ভাবে কিছু লিখবেন তারপর প্রোডাক্টের ছবি দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ডিজাইন করে আপনার কাস্টমার বা আপনার প্রাপকের কাছে প্রেরণ করবেন এবং সেটা অবশ্যই খুব প্রফেশনাল হতে হবে।
ভিডিও মার্কেটিং:
সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউব আপনি যদি আপনার প্রোডাক্ট এর খুব সুন্দর ভিডিও বানিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল প্রকাশ করেন তাহলে ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনার বিসনেস বা প্রোডাক্ট জনপ্রিয়তা লাভ করবে।ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন আপনার ভিডিওতে ছবিগুলা গুলো অবশ্যই রিয়েল হতে হবে আপনার ছবিগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলবেন প্রয়োজনে একটি ভালো ক্যামেরা ইউজ করবেন।
ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট:
আপনি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে অথবা কোম্পানির ব্যাপারে অবশ্য একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে রাখবেন এবং আপনার কোম্পানির ওয়েবসাইট সম্পর্কে মানুষের মনে যে রকম প্রশ্ন আসতে পারে সেই রকম প্রশ্ন এবং এর উত্তর দিয়ে রাখবেন তাহলে হবে কি আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে বা কোম্পানি সম্পর্কে যখন লোকেরা জানবে তখন অবশ্যই যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ইন্টারনেটে সার্চ করবে তখন যদি আপনার ওয়েবসাইটে সবকিছু থাকে অথবা আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখান থেকে উত্তর গুলো দেখবে এবং আপনার প্রোডাক্টের কোম্পানির প্রতি আস্থা তৈরি হবে মানুষের মনে। সেজন্য আমি বলব অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট প্রয়োজন।
আমাদের শেষ কথা
ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে কেমন লাগল তা জানাতে ভুলবেন না।প্রয়োজনীয় আরও টিপস এবং অনলাইন ইনকাম এর বিভিন্ন উপায় ও জানা অজানা নানা বিষয়ে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।
ধন্যবাদ