পুরুষ হরমোন বা টেস্টোস্টেরন হরমোন

টেস্টোস্টেরন বা পুরুষ হরমোন কী? ও এর উপকারিতা

স্বাস্থ্য কথা
টেস্টোস্টেরন হরমোন নিয়ে অনেকের অনেক ধরনের প্রশ্ন রয়েছে এবং অনেকের এই বিষয়ে জানার আগ্রহ রয়েছে।এই আগ্রহের কারণেই আপনাদের এই আর্টিকেলে জানাবো টেস্টোস্টেরন হরমোন কী, এই কাজ এবং কেন টেস্টোস্টেরন হরমোন শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।তাহলে চলুন মূল আলোচনায় চলে যায়।

টেস্টোস্টেরন হরমোন এই হরমোনকে পুরুষ হরমোন বলে এটি শরীরেও খুব অল্প পরিমাণে থাকে।এই হরমোন পুরুষের শুক্রাশয় ও নারীদের ডিম্বাশয়ে উৎপাদিত হয়।ছেলেদের বয়সন্ধিকালে এই হরমোন ছেলেদের শারিরীক পরিবর্তন ঘটায়।পেশী বৃদ্ধি, চুল-দাড়ি গজানো এবং লোম বৃদ্ধির পিছনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এই হরমোন পুরুষের বির্যের মাধ্যমে বের হয়।বয়সন্ধিকালে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা বেড়ে যায়।কৈশোর থেকে ২০ বছর এর মাঝে এই হরমোন এর মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে।৩০ বছরের পর এই হরমোন এর মাত্রা কমে যেতে থাকে।তবে অতিরিক্ত মাত্রায় কমে গেলে তাহলে সেটি চিন্তার বিষয়।সেটি বোঝার জন্য আপনাকে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাওয়ার লক্ষণ?

1.এই হরমোন কমে গেলে যৈান উত্তেজনা কমে যায়।লিঙ্গ দৃড় হয় না ও শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেয়।

2. টেস্টোস্টেরন হরমোন চুল ও দাড়ির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত।এই হরমোন কমে গেলে চুল পড়ে যায়।

3.এক গবেষণায় দেখা গেছে এই হরমোন এর অভাবে ৫৬% পুরুষ বিষণ্ণতায় ভোগে।

4.এই হরমোন এর অভাবে পেশী তার শক্তি হারায় ও অস্বস্তিতে ভোগে।

5.মনোযোগ এর অভাব ও স্হৃতিশক্তি কমে যাবে শরীরে এই হরমোন এর ঘাটতি থাকলে।

টেস্টোস্টেরন হরমোন স্বাভাবিক রাখতে করণীয়:

যেহেতু টেস্টোস্টেরন হরমোন মানুষের শরীরের খুবই প্রয়োজনীয় একটি হরমোন তাই এই হরমোন স্বাভাবিক রাখা অবশ্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।তাই এই হরমোন স্বাভাবিক রাখতে নিচের পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করতে পারেন:

1.ব্যায়াম:

মানুষের শরীরের গঠন স্বাভাবিক রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যায়াম খুবই কার্যকরী।এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা স্বাভাবিক থাকে।তবে ব্যায়াম করার সময় একটি বিষয় লক্ষ রাখবেন তা জেন কোনো মতেই ৪০ মিনিট এর বেশি না হয়।আবার অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা কমে যেতে পারে।তাই প্রতি সপ্তাহে ৪/৫ দিন এর বেশি করবেন নাহ।

চাপমুক্ত থাকা:

টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যাবে নাকি বাড়বে তা নির্ভর করে আপনি মানসিক ভাবে কতটা সুস্থ তার উপর।তাই চাপ ও চিন্তা মুক্ত সুখি জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানো:

যারা দৈনিক ৫ ঘন্টার কম ঘুমায় তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা কম থাকে।তাই টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা ঠিক রাখতে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

স্মুকিং করা:

যারা Smoking করে তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা অতিরিক্ত মাত্রায় কমে যেতে পারে।তাই এই গুলো বাদ দিতে হবে।

কোন কোন খাবার টেস্টোস্টেরন হরমোন এর মাত্রা বাড়ায়:

মধু:

টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়াতে মধু খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।কারন মধুতে আছে প্রাকৃতিক নিরাময়কারী উপাদান বোরন যা টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়াতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

বাধাকপি:

বাধাকপি একটি সবুজ শাকসবজি যাতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান এবং ইন্ড্রোল৩ কর্বিনল যা টেস্টোস্টেরনকে আরও কার্যকরী করে তোলে।

রসুন:

নিয়মিত কাচা রসুন খেলে টেস্টোস্টেরন ভালো ভাবে কাজ করে।তাই নিয়মিত কাচা রসুন খেতে অভ্যাস করুন।

ডিম:

ডিমে থাকে সেটারেটেড ফ্যাট, ওমেগা ৩, ভিটামিন ডি, হেলডি, কোলেস্টেরল ও প্রোটিন।যা টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

পালংশাক:

ওয়েসট্রোজেন এর মাত্রা কমাতে পালংশাক এর ভূমিকা অপরিসীম।তাছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই রয়েছে এই শাকে যা টেস্টোস্টেরন মাত্রা বাড়াতে সহায়তা করে।

মাংস:

যারা মাংস খায় নাহ তাদের শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা কম থাকে।তবে মাথায় রাখবেন অতিরিক্ত মাংস খাওয়া স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর।

আমাদের শেষ কথা:

টেস্টোস্টেরন হলো পুরুষ হরমোন।তাই আপনার পুরুষত্ব ধরে রাথতে অবশ্যই টেস্টোস্টেরন এর অপরিসীম ভূমিকা রয়েছে।যথা সম্বভ চেষ্টা করুন শরীরে টেস্টোস্টেরন এর মাত্রা ঠিক রাখতে।অন্যথায় আপনার জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

ধন্যবাদ

www.learningdiagram.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *