ফাইভার গিগ র‌্যাংক

ফাইভার গিগ র‌্যাংক করানোর কৌশল

ফাইভার

আসসালামু আলাইকুম,

আপনারা যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন বা করবেন ভাবতাছেন  তারা কম বেশি ফাইভার গিগ কী জানেন।কেননা ফাইভার গিগ ছাড়া বায়ার থেকে সেলার এর অর্ডার নেওয়া সম্বভ না।কারণ ফাইভার গিগ হচ্ছে একজন সেলার এর দক্ষতার পরিচয়।একজন সেলার কাজে কতটা দক্ষ তা নির্ভর করে গিগ এর উপর।

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে আপনি আপনার মূল্যবান গিগটি র‌্যাংক করাবেন ফাইভারে।গিগ র‌্যাংক করানোর জন্য বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে একটি গিগ খোলার সময়।প্রথমেই আপনি যে বিষয়ে এ গিগ টি খুলবেন সে বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য মানুষের গিগ গুলো দেখুন।বিশেষ করে ফাস্ট সেকেন্ড থার্ড পেজের গিগ খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন।

গুগল যেভাবে একটি কনটেন্টের কোয়ালিটির উপর একটি ওয়েব পেইজকে র‌্যাংক করায় ঠিক সেইরকম ভাবে ফাইভারও একটা গিগের কোয়ালিটি কী-ওয়ার্ড, আর সেল, গিগের রিভিউ আপনার রেসপন্স ইত্যাদি দেখে গিগটি র‌্যাংক করে। সেক্ষেত্রে গুগল যেমন এলগরিদম অনুসরণ করে চলে, ফাইভারও ঠিক একই ভাবে তাদের নিজস্ব কয়েকটি এলগরিদম গুলো ফলো করে, গিগ র‌্যাংক এর ক্ষেত্রে।

আপনি ফাইভারে আপনার গিগটি র‌্যাংক করাতে সর্বপ্রথমে আপনাকে একটি নির্দিষ্ট কাজে দক্ষ হতে হবে, যেন বায়ারের যেমনই চাহিদা হোক না কেন আপনি তা পূরণ করতে পারেন। সাথে আপনাকে কী-ওয়ার্ড পর্যবেক্ষণ করে গিগ তৈরী করতে হবে আপনার গিগ এর ব্যানার, টাইটেল নিশ্চিতভাবে আকর্ষনীয় রাখা আপনার গিগ র‌্যাংক এর জন্য জরুরী।পারলে সাথে ভিডিও এড করে দিবেন। সুন্দর একটি ডেসক্রিপশন লেখাটাও খুব জরুরী। এক্ষেত্রে কপি পেস্ট করবেন না যদি করেন তাহলে আপনার গিগ আর অ্যাকাউন্ট দুইটারই প্রবলেম হবে।

বর্তমান সময়ে ফাইভার মার্কেট প্লেসে (ফাইভারে একাউন্ট খুলতে এইখানে ক্লিক করুন) কম্পিটিশন খুব দ্রূত গতিতে বাড়ছে। একই সার্ভিসের উপর অনেক সেলার রয়েছে আর অসংখ্য গিগ তৈরী পরে আছে। কিন্তু বায়াররা এসব গিগ এর মধ্য থেকেই ভালো গিগ গুলো অর্ডার করে, আর তাদের কাজ বুঝে নেবে এবং অবশ্যই এক্ষেত্রে বায়ার তার কাজের জন্য সার্চ দিয়ে উপরে থাকা গিগ প্রথমে বেছে নেবে বায়ারের এত সময় থাকে না যে লাস্ট পেজ পর্যন্ত গিগ গুলো দেখবে সুতরাং বুঝতে পারছেন ই তো বেশী অর্ডার পাওয়ার জন্য গিগ র‌্যাংক করানো কতটা জরুরী। গিগ র‌্যাংক করাতে পারলে আপনি অনেক বেশি ইমপ্রেশন, ভিউ, ক্লিক পাবেন এবং এতে করে আপনার অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা ও সেল অনেক বেশী বেড়ে যাবে।

ফাইবারের আলগারিদম অনেক বেশি কিন্তু কিছু কিছু বিষয় মাথায় রেখে গীগ খুললে অবশ্যই আপনার গীগটি র‌্য্ংক করবে।আপনাকে সে ক্ষেত্রে প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে গিগের টাইটেল, তারপর গীগের ব্যানার তারপর ডিসক্রিপশন এবং পাঁচটি কি-ওয়ার্ড, ও গিগ এর ক্যাটাগরি।

একটি ফাইভার গিগ র‌্যাংক করানোর জন্য খুলার আগে যেসব বিষয় মাথায় রাখতে হবে:

গিগ এর টাইটেল লিখার নিয়ম

আপনার গিগ এর টাইটেলটি এমন ভাবে নির্বাচন করুন যাতে গিগর টাইটেল এই মেইন কি ওয়ার্ড গুলো থাকে যেমন মনে করুন আপনি ডাটা এন্ট্রির গিগ খুলবেন তাহলে আপনার টাইটেলটি এমন হবে “I will do data entry, excel data entry, web research, virtual assistance for you” এখানে আমার টাইটেলটি লক্ষ করুন টাইটেল এ data entry একটি কি-ওয়ার্ড হিসাবে কাজ করছে আবার excel data entry, web research, virtual assistance, সব গুলো একটি একটি কি-ওয়ার্ড সেক্ষেত্রে গিগ তাড়াতাড়ি র‌্যাংক হবে।এখন আপনি যেই বিষয় গিগ খুলবেন সেই বিষয় নিয়ে সার্চ করুন অন্যান্যদের টাইটেল দেখুন তারপর 5-6 টাইটেল লিখুন এরপর আপনি একটি টাইটেল সিলেক্ট করুন। মনে রাখবেন একটি গিগ আপনার ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে সেই ক্ষেত্রে অবশ্যই গিগটি যত্ন সহকারে সময় নিয়ে খুলুন। কিন্তু মনে রাখবেন টাইটেল ভুলেও কপি পেস্ট করবেন নাহ।

ফাইভার গিগ ক্যাটাগরি

গিগ ক্যাটাগরি নির্বাচন করার আগে আপনার সার্ভিস নিয়ে ফাইবার এ অনুসন্ধান করুন দেখুন ওনারা কি দিছে আপনিও ওই টাই দিন।এই ক্ষেত্রে আপনি একই ক্যাটাগরি রাখবেন।

কি-ওয়ার্ড রিসার্চ

প্রথমেই আপনি যে সার্ভিসটি ফাইভার এ দিবেন সেটার কিওয়ার্ড দিয়ে ফাইভার এ সার্চ দিন।মনে করুন আপনি “ডাটা এন্ট্রি” সার্ভিস দিয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ওরিজিনাল/মেইন কিওয়ার্ড হচ্ছে “Data Entry” এখন এই কিওয়ার্ড দিয়ে ফাইভার এ অনুসন্ধান করুন এবং এই সার্ভিসের ভালো ভালো গিগ গুলো খুলে দেখুন 15-20 টি গিগ এর কি-ওয়ার্ড একসাথে করুন তারপর এইখান থেকে যেই কি ওয়ার্ড গুলো বেশী ব্যাবহার হয়েছে সেই গুলো থেকে আপনার সার্ভিস এর উপর নির্ভর করে আপনার কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন।

গিগ ডিসক্রিপশন

প্রথমেই বলে রাখি গিগ ডিসক্রিপশন এ কোনো কিছুই কপি করবেন না 10-15 গিগ দেখুন। বিশেষ করে যেই গিগ গুলোতে 100+ রিভিও সেই গুলো দেখুন মনোযোগ দিয়ে পড়ুন কয়েকবার পড়ুন সবগুলো তারপর একটি গিগ ডিসক্রিপশন লিখে ফেলুন এরপর আবার আরও গিগ দেখুন। তারপর আপনি আপনার গিগ ডিসক্রিপশন আবার পড়ুন কিছু বাদ পড়লে তা লিখুন আর মনে রাখবেন ডিসক্রিপশন এ কি-ওয়ার্ড গুলো 2-3 বার যাতে থাকে। আবার বলছি কপি পেস্ট করবেন না। তাহলে রিপোর্ট খেতে পারেন।

গিগ ইমেজ

গিগ ইমেজ টা বানাবেন খুবই আইকেচিং আর প্রফেশনাল হতে হবে।গিগ এর উপরে আপনার সার্ভিস এর নাম দিন একসাইট এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা লাইন দিন। সম্বভ হলে আপনার একটি ছবি দিন অন্যসাইটে।ভালো আইডিয়ার জন্য অন্যদের টা দেখুন।এই ক্ষেত্রেও কপি করবেন না মনে রাখবেন কপি করলে আপনার ক্ষতি, আপনার একাউন্ট এ ওয়ার্নিং খাবেন।

সতর্কতা

উপরে আপনাদের সবসময় একটি সতর্ক করা হয়েছে যে গিগ এর কোনো কিছু কপি পেস্ট করবেন না।আপনি যদি কপি পেস্ট করেন তাহলে আপনি যার পোস্টটি কপি পেস্ট করবেন সে রিপোর্ট করলে ফাইবার আপনার গিগটি ‍মুছে দিবে এবং রিপোর্টও খেতে পারেন। আর যদি আপনাকে রিপোর্ট দেওয়া হয় তাহলে আপনার টপ গিগ গুলো পিছিয়ে যাবে। এক মাসে 3 টি রিপোর্ট হলে আপনার সখের ফাইবার অ্যাকাউন্ট ডিলিট হয়ে যাবে।সে জন্য রিপোর্ট খুব খারাপ একটি জিনিস।

আমাদের শেষ কথা:

আজকের এই আর্টিকেলটি আশা করি আপনার জন্য উপকারী হয়েছে।যদি তাই হয় তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে বন্ধুদের জানতে সহায়তা করুন।এরকম আরও প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে এবং শিখতে আমাদের সাথেই থাকুন।

ধন্যবাদ

www.learningdiagram.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *