
হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম।অনলাইন ইনকাম এর একটি নতুন টিপস নিয়ে আমাদের এই আর্টিকেল আশা করি শেষ পর্য ন্ত পরবেন।
বর্তমান সময়ে ফেসবুক ব্যাবহার করে না এমন লোক খুব কম আছে। কিন্তু এই ফেসবুক যদি হয় ইনকাম এর অন্যতম উৎস তাহলে কেমন হয়। হ্যাঁ এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন ফেসবুক থেকে ইনকাম এর কয়েকটি টিপস ও ট্রিকস।
এখন আমরা সবাই অবসব সময়টা ফেসবুক কাটিয়ে দিতে বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করি।কিন্তু এই ফেসবুকই এখন হবে আমাদের ইনকাম সোর্স।তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ফেসবুক আমাদের ইনকাম সোর্স হতে পারে।
ফেসবুক পেজ বিক্রি করে ইনকাম
প্রথমত আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ফেসবুক পেজ খুলে ফেলুন।তারপর পেজটিতে কয়েকদিন কষ্ট করে ফলোয়ার নিয়ে আসুন।যখন দেখবেন আপনার পেজটিতে ভালো ফলোয়ার আসবে তখন আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে দিতে পারবেন।সেজন্য আপনাকে আরেকটু কাজ করতে হবে তা হলো মার্কেটিং কারণ যার পেজ দরকার সে তো জানে নাহ আপনি পেজ সেল করেন।তারপর আপনি সেগুলো ফেসবুক এর বিভিন্ন বাই-সেল গ্রুপে পোস্ট করে বিক্রি করে ইনকাম করতে পরবেন।অনেক এর মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ফলোয়ার কীভাবে আনবেন চিন্তা নেয় ফলোয়ার আনার ও টিপস আছে।
সেজন্য ফেসবুক এর সার্চ বারে সার্চ করুন “facebook page follower” তারপর অনেক গ্রুপ পাবেন সেই গুলোতে জয়েন হবেন প্রথমে, তারপর আপনার ফেসবুক পেজ এর লিংক দিয়ে পোস্ট করুন, এরপর আপনার পেজ ফলো করে ওনারা স্কিনশর্ট দিবে এবং ওনার পেজ এর লিংক দিবে আপনি সেই লিংক এ ডুকে ফলো দিয়ে স্কিনশর্ট দিবেন শেষ হয়ে গেল।আপনি যদি চান শুধু আমেরিকার ফলোয়ার নিবেন তাহলে পোস্ট করার সময় বলে দিবেন “Only America link” তাহলে আমেরিকা থেকে ফলো পাবেন।
ইন্সটাগ্রাম ও টুইটার এর ক্ষেত্রে একই প্রক্রিয়া ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন।শুধু সার্চ বারে লিখুন “Instragram follower” “Twitter follower” তারপর জয়েন হয়ে যান গ্রুপ গুলোতে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল আপনি কোন ই-কমার্স সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট পার্টনারশিপ নিবেন তারপর সেখান থেকে কিছু প্রোডাক্ট প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট গুলো আপনি আপনার পেজে অ্যাড করুন সাথে আপনার প্রোডাক্ট অ্যাফিলিয়েট লিংক দিয়ে দিন শেষ হয়ে গেল এখন যদি আপনার পেজ এর ফ্যান ফলোয়ার্স আপনার লিংকে এ ডুকে প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনি আপনার পারিশ্রমিক পাবেন।
ফেইসবুক মারকেটপ্লেস
বর্তমানে ফেসবুকে মার্কেটপ্লেস অপশনটি হয়তো অবশ্যই দেখেছেন যদি না দেখেন তাহলে এখনি দেখে নিতে পারেন।এখানে আপনি চাইলে আপনার প্রোডাক্ট এর ছবি বিস্তারিত বিবরণ এবং প্রাইস সাথে মোবাইল নাম্বার ও লোকেশন নিয়ে পোস্ট করতে পারেন।আপনার প্রোডাক্ট যদি এই দামে কারো ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনাকে ফোন দিবে এবং এভাবে আপনি আপনার প্রোডাক্ট খুব সহজেই বিক্রি করতে পারবেন এবং একটি করে অনেক মানুষ তার ব্যবসার ঘরে বসে চালিয়ে দিতে পারছে আপনি সত্য যাচাই করতে ফেসবুক মার্কেটপ্লেস অপশনটি ঘুরে আসতে পারেন অথবা বিভিন্ন অথবা বিভিন্ন ফেসবুক পেজ আছে যেগুলোতে প্রোডাক্ট বিক্রি করে সেগুলো ঘুরে দেখতে পারেন।
আপনার যদি একটি খুব বড় কনফেকশনেরি বড় কোন দোকান থাকে তাহলে আপনি আপনার দোকানের প্রোডাক্টগুলো আপনার ফেসবুক পেজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইনে বিক্রি করতে পারবেন সে ক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে কারণ অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাবে আপনাকে হোম ডেলিভারি দিতে হচ্ছে।এভাবে আপনি আপনার ব্যবসাকে গ্রোথ করাতে পারবেন খুব সহজেই কিন্তু এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার ব্যবসাটি শহরে হলে লাভজনক বেশি হবে।
ফেসবুক মনিটাইজেশন:
আপনারা অনেকেই জানেন ফেসবুকে মনিটাইজেশন অপশনটি অ্যাড করা হয়েছে ইউটিউব এর মতো।ফেসবুকে মনিটাইজেশন পাওয়ার জন্য আপনার একটি ফেসবুক পেইজ ও আপনার নিজের তৈরী ভিডিও প্রয়োজন হবে।যদি আপনার এগুলো প্রস্তুত থাকে তাহলে ওদের কিছু সহজ গাইডলাইন মেনে চললেই হবে।তাহলে চলুন গাইডলাইন গুলো জেনে নেই:
প্রথমে তাদের গাইডলাইন ছিলো আপনাকে ৬০ দিনে ৩০,০০০ ভিউ প্রয়োজন হবে এবং 10,000 ফলোওয়ার লাগবে।সেই সাথে আপনার প্রতিটি ভিডিও এর দৈর্ঘ্য ৩ মিনিট এর বেশি হতে হবে এবং প্রত্যেককে ১ মিনিট এর বেশি সময় ভিডিও দেখতে হবে।কিন্তু বর্তমানে এটি পরিবর্তন হয়ে আরেকটু কঠিন হয়েছে এখন আপনাকে ৬০ দিনে ৩০,০০০ ভিউ দিয়ে হবে না এখন আপনার ৬০০,০০০ ভিউ লাগবে এবং কেউ যদি ৫/৬/৭ সেকেন্ড ভিডিও দেখে তাহলেও সেটি মোট ভিউ এর সাথে যুক্ত হবে।
ধন্যবাদ