ফেসবুক মার্কেটিং

ফেসবুক মার্কেটিং – Facebook marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমান এ সবচেয়ে জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়া সাইট এর মধ্যে অন্যতম ফেসবুক।আমরা ফেসবুক ছাড়া আমাদের সময় যেন পারই করতে পারি না।এই ফেসবুক এর চাহিদা দিনে দিনে বেড়েই চলছে।প্রতিদিন দিনমজুর থেকে শুরু করে ডাক্তার ছাত্র-ছাত্রী সহ বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ একবার হলেও ফেসবুকে উকি দেই।তাই আজ আপনাদের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে ফেসবুক মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করব।

মাধ্যমে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত:

এই ফেসবুক মার্কেটিং মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি পার্ট।ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের একটি অংশ ফেসবুক মার্কেটিং দিয়ে করা হয় আপনারা যারা আমার ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে লেখা আর্টিকেল পড়েছেন তারা হয়তো জানেন যারা পড়েননি তারা পড়ে আসতে পারেন।আপনি চাইলে ফেসবুকে পেইড এবং ফ্রি দুই ভাবে আপনার প্রোডাক্ট প্রচার (Marketing) করতে পারবেন।তাহলে চলুন আগে ফেইসবুক পেইড মার্কেটিং নিয়ে আলোচনায় করি।

ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা গুলো কী কী? – Benefits of facebook marketing

ব্যবহারকারীর সংখ্যা পৃথিবী ব্যাপী হওয়ায় যদি প্রমোট করেন তাহলে আপনার প্রোডাক্টে নিঃসন্দেহে ভালো সেল আসবে। আপনার প্রোডাক্ট এর গুণাবলী বুজে আপনার নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের কাছে প্রমোট করতে পারায় সেই বয়সে মানুষ আপনার প্রোডাক্ট কিনতে পারবে।এর ফলে আপনার খরচ বেঁচে যাবে। এমন করে টিভিতে অথবা পেপারে বিজ্ঞাপন দিতে গেলে বেশি খরচ কিন্তু ফেসবুকে খুব কম খরচে আপনার প্রোডাক্ট আপনার যেই বয়সের যেই জায়গার কাস্টমার দরকার তাদের কাছে তুলে ধরতে পারছেন। এর ফলে আপনার অনেক টাকা অপচয় থেকে বেঁচে যাচ্ছে। প্রোডাক্টের সাথে টার্গেটেড কাস্টমার পাওয়ায় ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ বেড়ে যায়। এখন আসি কীভাবে ফ্রীতে ফেসবুক মার্কেটিং করবেন।

এছাড়াও আপনার ওয়েবসাইট বা পেইজ এর ট্রাফিক ফলোয়ার বাড়াতে ফেসবুক মার্কেটিং এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং – Facebook Paid marketing

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং হলো ফেসবুক এর আলাদা একটি সেক্টর যেখানে আপনি চাইলে কিছু টাকা (ডলার) পেমেন্ট করে করাতে হবে।তবে এটি বর্তমানে খুব লাভ জনক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।কারণ আগেই বলেছি বিলিয়ণ মানুষ দৈনক একবার হলেও এই ফেসবুক ব্যাবহার করছে।

ফেসবুকে পেইড মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি সবচেয়ে বেশী সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। কারণ ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর ফলে আপনি চাইলে কোন নির্দিষ্ট জায়গা সিলেট করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।কিন্তু সেজন্য অবশ্যই আপনাকে ফেসবুকে কিছু ডলার ( টাকা) পেমেন্ট করতে হবে।

ফেসবুক পেইড মার্কেটিং এর সুবিধা – Benefits of facebook paid marketing

মনে করেন আপনার একটি ছেলেদের পোশাকের শোরুম আছে।আর সেগুলো শুধু মাত্র 20 বছর থেকে 40 বছরের পুরুষদের জন্যই প্রযোজ্য।এখন আপনি চাচ্ছেন আপনার প্রোডাক্ট গুলো শুধু আপনি যে শহরে থাকেন সেই শহরের ছেলে লোকদের কাছে মার্কেটিং করবেন তাহলে আপনি ফেসবুক এর সাহায্যে আপনি শুধু আপনার শহরের ছেলেদের কাছে আপনার প্রোডাক্ট গুলো প্রমোট করতে পারবেন আবার আপনি চাচ্ছেন আপনার প্রোডাক্ট গুলো শুধু একটা নির্দিষ্ট বয়সের মানুষের কাছে প্রমোট করতে যেমন মনে করেন আপনার কাছে 20 বছরের ছেলে থেকে 40 বছরের পর্যন্ত মানুষের পোশাক আছে এখন আপনি চাইলে শুধু 20 বছর থেকে 40 বছর মানুষের কাছে ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারবেন। এখন ফেসবুক আপনার প্রোডাক্ট গুলো যাদের বয়স 20 থেকে 40 বছরের মধ্যে তাদের কাছে দেখাবে।

কীভাবে ফেসবুক পেইড মার্কেটিং করবেন? – Facebook paid marketing

ফেসবুক মার্কেটিং কোনো কঠিন বিষয় নয়।তারপরও কিছু সহজ বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

1. আপনার ব্যান্ড কোম্পানী হলে একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে।না থাকলেও সমস্যা নেই। 2. একটি ফেসবুক পেজ আপনাকে অবশ্যই থাকতে হবে। 3. আপনার ব্রান্ডের একটি লোগো দিয়ে প্রোফাইল আর একটি আকর্ষণীয় কভার ফটো যুক্ত করতে হবে। 4. ওয়েবসাইট থাকলে সেটি লিংক করান। 5. ডিসক্রিপশন বক্সে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে খুব ভালো করে বিবরণ লিখুন। 6. এখন আপনার পেজ হলো কিন্তু কোনো ফলোযার নেই তাই আপনাকে এখন লাইক ফলোয়ার বাড়ানোর জন্য আপনার ফ্রেন্ডদের ইনভাইট করুন লাইক দেওয়ার অনুরোধ করুন।7. আপনি আপনার প্রোডাক্ট গুলোর বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করুন।পরলে ভালো করে ভিডিও করে পোস্ট করেন।এতে করে যারা আপনার পেজ ফলো করবে ভিজিট করবে তারা আপনার পেজ সম্পর্কে জানতে পারবে। 8. এরপর আপনি ফেসবুককে ডলার (টাকা) দিয়ে আপনি আপনার প্রোডাক্ট প্রমোট করাতে পারবেন। 9. আপনি চাইলে আপনার পেজে ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন পেমেন্ট করে।

আবার আপনি চাইলে কয়েকজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার নিয়োগ দিতে পারেন তারা বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট করবে এবংআপনার সাথে একটি চুক্তি থাকবে এরকম যে তারা যদি কোন প্রোডাক্ট বিক্রি করে দিতে পারে তাহলে আপনি তাদের লাভের কিছু অংশ টাকা ওদের দিবেন।

ফেসবুক পেজ – Facebook page

আপনার ফেসবুক পেজে আপনার প্রোডাক্ট গুলো সুন্দর করে ছবি তুলে বিবরণ দিয়ে প্রোডাক্ট এর দাম দিয়ে পোস্ট করবেন অবশ্যই নাম্বার দিবেন। কারো ভাল লাগলে আপনার নাম্বারে ফোন দিবে অথবা পেইজে মেসেজ এর মাধ্যমে আপনার পণ্যটি কিনবে। আর আপনার যদি ফেসবুক পেজ থাকে এবং লাইক ফলোয়ার কম থাকে তাহলে আপনি এই পেজের মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টগুলো পেইড মার্কেটিং করবেন এতে করে আপনার প্রোডাক্টের বিক্রির সাথে সাথে আপনার একটি সময় ফেসবুক পেজে লাইক ফলোয়ার পাবেন এবং তখন আপনার আর পেড মার্কেটিং করতে হবে না আপনি শুধু ফেসবুক পেজে পোষ্ট করেই প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন কারণ তখন আপনার ফেসবুক পেইজে অনেক লাইক ফলোয়ার ভিজিটর থাকবে আর এতে করে আপনার পেইড মার্কেটিং এর খরচ কমে যাবে।আপনার যদি পন্যের গুণগত মান ভালো হয় তাহলে ধীরে ধীরে ভিজিটর আরও বৃদ্ধি পাবে।

কীভাবে ফ্রী ফেসবুক মার্কেটিং করবেন – Facebook marketing without money

ফ্রীতে ফেসবুক মার্কেটিং করার জন্য আপনার কয়েকটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লাগবে। ঐ অ্যাকাউন্ট গুলো আপনার প্রডাক্ট বুজে গ্রুপে পোস্ট করুন।যেমন মেয়েদের শাড়ির দোকান হলে মেয়েদের সাজসজ্জার গ্রুপে পোস্ট করুন। আর বায়ার কাজ করলে বায়ার তার প্রোডাক্ট কোন দেশে প্রমোট করতে বলল সেটা জেনে বুঝে সেই গ্রুপ গুলোতে জয়েন হতে হবে।

মনে করুন বায়ার আপনাকে কোনো ই-কমার্স সাইট আমেরিকাতে প্রমোট করতে বলল সেজন্য আপনাকে ফেসবুক এর সার্চবারে লিখতে “Ameraca (USA) buy sell group” তারপর অনেক গুলো গ্রুপ আপনার সামনে হাজির হবে এখন সব গুলো গ্রুপে জয়েন হন।প্রত্যেকটা আইডিকে 7-8 টা করে নতুন নতুন গ্রুপে জয়েন করুন।আবার বায়ার রান্নার ভিডিও প্রমোট করতে বললে তখন রান্না বিষয়ক গ্রুপ গুলো খুজে বের করুন।তার মানে দাড়ালো বায়ার যেই রিলেটেড প্রোডাক্ট দিবে মার্কেটিং এর জন্য সেই রিলেটেড গ্রুপে পোস্ট করবেন।

এখন অনেকে হয়তো ভাবতাছেন পোস্টটা কীভাবে করব সাধারণ ভাবে আমরা যেই ভাবে পোস্ট করি সেই ভাবে নাকি ভিন্ন ভাবে।না একটু ভিন্ন ভাবে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে।যদি আপনাকে ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করতে বলা হয় তাহলে সেই সাইট এর কিছু ভালো ভালো ছবি ডাউনলোড দিন নাহলে স্কিনশর্ট নিন প্রোডাক্ট এর তারপর সেটাকে ক্যানভাতে বসিয়ে একটু নাড়াচাড়া করুন দুইটা স্কিনশর্ট একসাথে করে নিন তারপর ঐ ছবি দিয়ে 5 বার এর বেশী পোস্ট করবেন না।যদি করেন তাহলে আইডি ব্যানড খাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

তারপর আবার নতুন আইডি দিয়ে নতুন করে ক্যানভাতে বসিয়ে ইডিট করে পোস্ট করুন।বায়ার যদি একই কাজ অন্য কউকে দেয় তাহলে সেও সেই পণ্যটি প্রচার করলে তাহলে ফেসবুকে একই প্রোডাক্ট এর অনেক পোস্ট হওয়ায় 2 জনের আইডি ব্যান হওয়ার চান্স থাকবে। আপনি পোস্ট করার সময় ইমুজি ব্যাবহার করুন এতে করে পোস্ট আর্কশনীয় হবে দেখতে।আবারও বলছি 5 বার এর বেশি পোস্ট করবেন না 4 বার করলে আরও বেশী ভালো।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই আর্টিকেলে ফেসবুক মার্কেটিং সম্পর্কে জেনে কেমন লাগল অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন।আর আপনাদের বন্ধুদের সাথে অবশ্যই শেয়ার করবেন।এরকম আরও টিপস ট্রিকস জানতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।

ধন্যবাদ

www.learningdiagram.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *