আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিয়ন বাংলাদেশ থেকে যার দূরত্ব ১৫ হাজার কিলোমিটার দূরে হলেও যেন এক টুকরো বাংলাদেশ।বাংলাদেশ থেকে হাজার কিলোমিটার দূরে হলেও মিশে আছে বাংলাদেশ এর নানা সংস্কৃতি ও ইতিহাস।এই আর্টিকেল এর মধ্যমে আপনাদের জানাবো কীভাবে সিয়েরা লিয়ন এর ভাষা বাংলা হলো।কীভাবে এতো জনপ্রিয় সিয়েরা লিয়নে বাংলা ভাষা।
সিয়েরা লিয়ন এর রাষ্টীয় ভাষা বাংলা হলো যেভাবে – বাংলার অংশ সিয়েরালিয়ন
বাংলা ভাষা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ভাষার মধ্যে একটি যার জন্যে শহীদ হয়েছে অনেক বাঙালী।বাংলা ভাষার কথা মনে হলেও মনে পড়ে যায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির কথা।সেই দিন আন্দোলন হয়েছিল বাংলা ভাষার জন্য সেই আন্দোলনে পুলিষের নির্মম নির্যাতন ও এলোপাতারি গুলিতে প্রাণ হারায় অনেকে।তাই তো এই দিনটি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
আর এই বাংলা ভাষা এখন জয় করেছে ভারত বাংলাদেশ সহ হাজার কিলোমিটার দূরের সিয়েরা লিয়ন এর মানুষের মন।
চলুন জানি সেই ইতিহাস:
সিয়েরা লিয়ন এ রয়েছে হিরে সোনা টাইটানিয়াম, বক্সাইট, সহ বিভিন্ন মূল্যবান খনিজ পদার্থ।আর এই মূল্যবান খনিজ পদার্থের কারণে মূলত দেশটি ছিল ইংল্যান্ডে হাতে।১৯৬১ সালে বিদেশীদের অত্যাচার থেকে রক্ষা মিলে সিয়েরা লিয়নে।স্বাধীন হলেও দেশে ফিরেনি শান্তি।১৯৬৪ সালে সিয়েরা লিয়ন এর প্রধান মন্ত্রী মিলটন মার্গায় মারা যাওয়ার পর দেশের পরিস্থিতী আবারও খারাপ হতে থাকে।পরে ১৯৯০ সালে সিয়েরা লিয়নে শুরু হয়ে যায় গৃহ যুদ্ধ।আফ্রিকার সবচেয়ে রক্তাত্ত ও ভয়াবহ গৃহ যুদ্ধ গুলোর মধ্যে একটি হলো এই সিয়েরা লিয়ন এর গৃহ যুদ্ধ।
২০০২ সাল পর্যন্ত চলে এই যুদ্ধ যাতে মৃত্যু হয় প্রায় ৫০ হাজার মানুষের।আর যুদ্ধ থামাতে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সহ আরও কয়েকটি দেশ যোগ দেয় দেশটির শান্তি রক্ষা মিশনে।যুদ্ধ শেষ হওয়া অবদ্ধি শান্তি কমিশনের সদস্য হিসেবে সিয়েরা লিয়নে কাজ করেন বাংলাদেশ এর মোট ১২ হাজার সেনা।
যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দেশটিতে গড়ে তুলতে সেখানেই থাকেন বাংলার সাহসী সেনারা।দীর্ঘ সময় ধরে বাংলার সেনাদের সাথে মিশে ভাষার আদান প্রদান সংস্কৃতির এই আদান প্রদানে ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বাংলার আরেকটি টুকরো।বাংলা ভাষায় ও সংস্কৃতিতে মুক্ত হয়ে ২০০২ সালে বাংলাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে রাষ্ট্র ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।হয়ে উঠে বাংলার অংশ সিয়েরালিয়ন এমনকি সিয়েরা লিয়নের একটি সেতুর নাম করা হয়েছে বাংলাদেশের নামানুসারে।
ধন্যবাদ