মুদ্রার মান এর ভিন্নতা

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম,

আপনারা কি কখনো ভেবে দেখেছেন একেক দেশের মুদ্রার মূল্য ভিন্ন কেন।মানে এক ডলার কিনতে আমাদের প্রায় ১০৪.৮৭ টাকা (১১ মার্চ ২০২৩ এর হিসাব আপডেট জানুন এইখানে) প্রয়োজন আবার ভারতীয় রুপি কিনতে আমাদের প্রায় ১.২৮ টাকা (১১ মার্চ ২০২৩ এর হিসাব আপডেট জানুন এইখানে) প্রয়োজন কেন।হ্যাঁ আজকের পর্বে আপনাদের সাথে এই ভিন্নতার কারণ জানাবো।চলুন জেনে নেই:

আসলে এই ভিন্নতাটি বেশ কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে তার মধ্যে রয়েছে:

মুদ্রার মান এর ভিন্নতা এর কারণ:

ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট তত্ত্ব:

ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট তত্ত্ব নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজারে সেই মুদ্রা কতটুকু চাহিদা রয়েছে তার উপর।এই ধরেন আমাদের দেশে যদি ইমপোর্ট বেড়ে যায় তাহলে ব্যাংক গুলোকে LC (Letter of credit) খুলতে হয় যার জন্য ব্যাংক গুলোকে ডলার ক্রয় করতে হয়।এতে করে ডলার চাহিদা বৃদ্ধি পায়।আর কোনো পন্য বা প্রডাক্ট এর চাহিদা বৃদ্ধি পেলে তার দাম বাড়া স্বাভাবিক।

তাই এখন যদি আমরা এক্সপোর্ট বা রপ্তানি অথবা প্রভাসীরা যদি রেমিটেন্স পাঠানো বাড়িয়ে দেয় তাহলে আমাদের ব্যাংক গুলোতে পরযাপ্ত পরিমাণ বৈদেশীক মুদ্রা থাকবে এত করে আমাদের আর ডলার ক্রয় করতে হবে না অথবা ডলার ক্রয় এর পরিমাণ কমে যাবে যার ফল শ্রুতিতে ডলারের এর মান কমে যাবে।

 

গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড:

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় কেন্দ্রিয় ব্যাংক গুলো একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ জমা রেখে মুদ্রা চাপাতো।

এই থিউরিটি এখন আর ব্যাবহার হয় নাহ তবে যেসব দেশ এই ধিওরিটি অনুসরণ করতো তাদের মুদ্রার মান অনেকটাই স্থিতিশীল থাকতো।

 

পার ভ্যালু থিওরি:

এটি IMF (International Monetary fund) এর পার ভ্যালু থিওরি।IMF (International Monetary fund) প্রতিষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন দেশ তাদের বিভিন্ন ডকুমেন্টের মাধ্যমে IMF কে দায়িত্ব দেয় দুটি দেশের মধ্যে তাদের মুদ্রার মান কেমন হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য।আমরা যেখানে স্বর্ন রেখে টাকা ছাপাতাম সেখানে তারা মার্কিন ডলার বসিয়ে দেয়।IMF এই তত্ত্বটির নাম দেয় পার ভ্যালু সিস্টেম।সে সময় আমেরিকার কেন্দীয় ব্যাংক প্রতি ৩৫ ডলারে এক আউন্স স্বর্ণ জমা রাখতো।IMF তার সদস্য দেশ গুলোকে পরামর্শ দেয় যে যেন তারা একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ মার্কিন ডলারের বিনিময়ে তাদের দেশে কি পরিমাণ মুদ্রা হবে সেটি প্রকাশ করে।

এই বিষয়টি স্থির মূল্য নামে পরিচিত ছিল।এখন কোনো দেশে যদি কোনো কারণে তাদের চাহিদা মুদ্রা হ্রাস বৃদ্ধি ঘটত তাহলে তাদের কেন্দীয় ব্যাংক বাজার থেকে ডলার ক্রয় করতো।অথবা ডলার বিক্রি করে ডলার এর মূল্য নির্দিষ্ট রাখতো।কোনো দেশ যদি তাদের বিনিময় হার পরিবর্তন করতে পাইতো তাহলে তা আগে IMF কে জানাতে হতো।তারপর IMF যাচাই বাচাই করে সিদ্ধান্ত দিত যে তারা তাদের বিনিময় হার কমাতে বা বাড়াতে পারবে কি নাহ?১৯৭০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২৫ বছর এই নিতির প্রচলন ছিলো।এরপর এটি বিলুপ্ত হতে শুরু করে।

 

পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি:

এটি ক্রয় ক্ষমতার সমতা তথ্য।

 

এই ছিলো বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মান এর ভিন্নতা এর মূল কারণ গুলো।

 

ধন্যবাদ

www.learningdiagram.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Sorry