বর্তমান সময়ে আমাদের মাজে স্মার্টফোন তার বিভিন্ন সুবিধা কারণে অনেক বেশি জনপ্রিয় এবং এখন প্রায় প্রত্যোক এর মাজেই একটি স্মার্টফোন লক্ষ করা যায় হোক সেটা দামি আর কম দামি।আর এই স্মার্টফোন এর মধ্য আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অনেক ফাইল ছবি ভিডিও আরও অনেক কিছু রেখে দেয়।কিন্তু অনেক সময় আমরা লক্ষ করি অমাদের অতি গুরুত্বপূর্ণ ফাইলটি নষ্ট হয়ে গেছে অথবা চালু করতে দেরি হয়।এটি হয় মূলত ভাইরাস এর কারনে আর এই পর্বে আপনারা জানতে পারবেন কীভাবে সখের ফোনটি ভাইরাস মুক্ত করবেন।
চলুন জেনে নেই
সাধারণত স্মার্টফোনের Android Version ও IOS Version কে এমন ভাবে তৈরী করা হয় যাতে ফোনে নিজ থেকে কোনো ভাইরাস ঢুকতে বা ছড়াতে না পারে।
স্মার্টফোনে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:
ভাইরাস দূর করার আগে অপনাকে বোঝতে হবে আপনার ফোনে কি সত্যি ভাইরাস হয়েছে কিনা।
ফোনের ভাইরাসতো আর অপনি দেখতে পারবেন নাহ তাহলে কীভাবে বুঝবেন? সেটি বুঝতে হবে মোবাইল এর পারফরমেন্স এর অপর।এছাড়াও নিচের পদক্ষেপ গুলো দেখেও বুঝতে পারবেন যে আপনার স্মার্টফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা।
1.ফোনের চার্জ তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়া।
স্মার্টফোন ফোনের ব্যাটারি যতই শক্তিশালী হক না কেন ভাইরাস আক্রান্ত হলে আগের তুলনায় তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে ব্যাটারি এর চার্জ।
2.ফোনে নিজ থেকে অ্যাপ্লিকেশন ইনস্ট্রল হওয়া:
আপনি না চাইলেও ফোনে অ্যাপ বা সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন নিজ থেকে ইনস্ট্রল হবে।সেজন্য সেটিংসে গিয়ে দেখে নিবেন ফোনে পরিচিত অ্যাপ ছাড়া অন্যান্য রহস্যময় বা সন্দেহজনক Android app আছে কিনা।থাকলে Delete করুন।
3.ফোন স্লো হওয়া:
ফোন হ্যাংক করবে এবং Slow হয়ে যাওয়া ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।
4.নিজ থেকে মেসেজ যাওয়া
আপনার পরিচিত ব্যাক্তিদের কাছে যদি নিজ থেকে মেসেজ চলে যায় তাহলে বুজবেন স্মার্টফোনটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
5.বিঞ্জাপণ দেখানো:
মোবাইলের Home Screen এ অ্যাড দেখানো মোবাইলে ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ।যদি কখনো লক্ষ করেন কোনো প্রকার অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহার করা ছাড়া ফোনে বিঞ্জাপণ দেখাচ্ছে তাহলে বুঝবেন ফোনে ভাইরাস রয়েছে।
স্মার্টফোনে কীভাবে ভাইরাস প্রবেশ করে:
স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশ করে মূলত গুগল প্লে স্টোর এর অ্যাপ এর মাধ্যমে।দুষ্টু নির্মাতারা অ্যাপ এর মাধ্যমে ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয় তাই গুগল আরও উন্নত হয়ে এখন কোনো নির্মাতাকে আর ভাইরাস যুক্ত অ্যাপ আপলোড করতে দেয় নাহ।(বিস্তারিত)
এছাড়া স্মার্টফোনে ভাইরাস প্রবেশ এর উপায় গুলো হলো:
1.ইমেল এর মাধ্যমে:
বর্তমানে প্রায় আমরা সবাই ইমেইল ব্যাবহার করি আর হ্যাকাররা মূলত হ্যাকিং এর জন্য ইমেইল ব্যাবহার করে তারা প্রথমে আপনাকে ই-মেইল এর মাধ্যমে একটি লিংক দিবে হতে পারে কোনো সাইট অথবা থার্ট পার্টি কোনো অ্যাপ ডাউনলোড এর সাইট এর অ্যাপ লিংক।তাই সন্দেহ জনক কোনো মেইল পেলে এবং লিংক দিলে সেখানে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন।
2.এসএমএস ও মেসেন্জার এর মাধ্যমে:
ফোনে অথবা Messenger এর মাধ্যমে অপরিচিত কোনো ব্যাক্তি সন্দেহ জনক লিংক দিলে ক্লিক করবেন নাহ।এতে আপনার ও আপনার ডিভাইস উভয় এর জন্যই উপকারী।
3.অ্যাপ ডাউনলোড এর মাধ্যমে:
অ্যান্ড্রোয়েড এর জন্য গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল এর জন্য অ্যাপেল প্লে স্টোর ব্যাতীত অ্যাপ ডাউনলোড করবেন নাহ।তবে হ্যাঁ যদি সেই App এর অফিসিয়াল সাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন তাহলে সমস্যা নেই।
স্মার্টফোন এর ভাইরাস এর নাম ও লক্ষণ:
1.হাইজ্যাক ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:
যদি আপনি লক্ষ করেন আপনার ফোনটি অল্প চালাতেই অধিক গরম হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন আপনার ফোনটি হাইজ্যাক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।কারন এই ভাইরাস আপনার অজান্তেই ফোন কে ব্যাবহার করে আপনার ফোনকে ব্যাস্ত রাখে যার কারনে আপনি চালানোর সময় ফোন গরম হয়ে যায়।
2.অ্যাডওয়্যার ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ:
স্মার্টফোন অ্যাডওয়্যার ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফোনে নিজ থেকে বিঞ্জাপন দেখাবে।কিন্তু যদি নেট চালু করে Application ব্যাবহারের সময় Advertise দেখায় তাহলে তা স্বাভাবিক।কারন অ্যাপ্লিকেশন ব্যাবহারের সময় যেই Ads দেখানো হয় সেটি দ্বারা নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তি Income করে।তবে অবশ্যই ডাটা চালু থাকা অবস্থায় সেই অ্যাড আসবে।
আরও পড়ুন:
গুগল প্লে-স্টোর থেকে নিরাপদে অ্যাপ ডাউনলোড করার উপায় জানতে এইখানে ক্লিক করুন।
স্মার্টফোনকে ভাইরাস থেকে বাচানোর উপায়:
1.ফোনে না জেনে না বুজে অ্যাপ ডাউনলোড করবেন নাহ।
2.গুগল প্লে-স্টোর ছাড়া অন্য কোনো থার্ট পার্টি অ্যাপ বা ওয়েবসাইট থেকে অ্যাপ ডাউনলোড থেকে বিরত থাকবেন।
3.গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড এর পূর্বে পারমিশন ভেবে চিন্তে দিবেন প্রয়োজনে আমাদের এই পোস্ট পড়তে পারেন।(বিস্তারিত)
4.যদি দেখেন কখনো আপনি ডাউনলোড করেন নাই এমন কোনো অ্যাপ আপনার ফোনের ডাটা বা ব্যাটারি পাওয়ার খরচ করছে তাহলে তা আপনার এবং আপনার ফোনের জন্য হুমকি হতে পারে সেটি।তাই “Data Useage” “Battery Performance” অপশন থেকে দেখে নিবেন কোনো অপরিচিত অ্যাপ ডাটা ও ব্যাটারি পাওয়ার খরচ করছে কিনা।
5.গুগল-প্লে স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড এর পূর্বে দেখে নিবেন সেটির রিভিউ কেমন ভালো নাকি খারাপ।(বিস্তারিত)
6.SMS, MMS অথবা Messenger বা অন্য কোনো মাধ্যমে কোনো লিংক পেলে সেটি ওপেন করার সময় যদি ক্রোম বা মজিলা ফায়ার ফক্স থেকে কোনো এলার্ট মেসেজ আসে তাহলে সেই লিংকে ডুকা থেকে বিরত থাকবেন
7.ফোনে নিয়মিত অ্যান্টি ভাইরাস দিয়ে স্ক্যান করিয়ে নিবেন।
ধন্যবাদ