ব্রিটেন এর রাজপরিবার যাকে রয়েল ফ্যামিলি বলা হয়।যে পরিবার এর প্রতিটি সদস্য এক এক জন আন্তর্জাতিক মানের সেলিব্রেটি।তারা এক সময় বিশ্বের অনেক দেশ শাসন করেছে।ইতিহাসে অনেক শাসক বা রাজপরিবার আসছে গেছে কিন্তু ব্রিটেন এর রাজপরিবার এর মতো কোনো রাজ পরিবার এতো ক্ষমতা নিয়ে টিকে থাকতে পারে নাই তাই বলা হয় ব্রিটিশ রাজপরিবারের সূর্য কখনো অস্তে যায় নাহ।কিন্তু সেই রাজপরিবারের রানীর মৃত্যুতে কীভাবে শোক পালিত হয় ব্রিটেনে চলুন জেনে নেই।
ব্রিটেনের রাজপরিবার এর সদস্যদের মৃত্যুতে ব্রিটেনে বেশ কয়েকভাবে শোক পালিত হয় সেগুলো নিচে ব্যাখ্যা করা লো:
দুই-তৃতীয়াংশ উপরে পতাকা উড়ানো বা পতাকা অর্ধনমিত করা:
ব্রিটেনের রাজপরিবার এর সদস্যদের মৃত্যুতে ব্রিটেনে শোক পালন এর জন্য পতাকাকে অর্ধনমিত বা দুই-তৃতীয়াংশ উপরে উড়ানো হয় এতে করে ধারণা করা হয় পতাকার উপরে আরেকটি পতাকা আছে যেটিকে “মৃত্যুর অদৃশ্য পতাকা” বলা হয়।
- নোট: এই প্রথা শুরু হয় ১৭ শতকে।
ঘন্টা বাজানো:
কোনো রাজা রানীর মৃত্যু হচ্ছে এমন ঘটনা গুলোর জন্য ঘন্টা গুলো এমন কৈাশলে বাজানো হয় যাতে মনে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি হয়।
চার্চ অব ইল্যাণ্ডের সব চার্চ, চ্যাপেল এবং ক্যাথেড্রালগুলো রানীর মৃত্যুর পরের দিন তাদের ঘন্টা বাজিয়েছিল।
তবে রাজার অভিষেকে ঘন্টা গুলো স্বাভাবিক ভাবে বাজানো হয় যাতে প্রতিধ্বনি সৃষ্টি না হয়।
- নোট: এই প্রথা শুরু হয় ৭ম শতকে।
বন্দুকের গুলির মাধ্যমে স্যালুট জানানো বা তোপধ্বনি:
রাজপরিবারের সদস্যদের মৃত্যুতে ব্রিটেনে বন্দুকের গুলির মাধ্যমে স্যালুট জানানো হয়।
তবে এতে কিছু জটিলতা রয়েছে যে কতবার এবং কোখায় তোপধ্বনি ছোড়া হবে।
১৮২৭ সালে বোর্ড অব অর্ডিন্যান্স এর নির্দেশে, রাজপরিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে লন্ডনের রয়্যাল পার্কস অথবা টাওয়ার অফ লন্ডনে ৪৬ টি গুলি ছোড়া হয়েছে।
কিন্তু আশা করা হয় কোনো কোনো ঘটনা বা স্থানে ৬২টি গুলি ছোড়া হয়।
- নোট: এই প্রথা শুরু হয় ১৫ শতকে।
বিঞ্জপ্তি প্রকাশ:
রাজপরিবারে কারো জন্ম বা মৃত্যুতে বাকিংহাম প্যালেসে একটি ছোট ও গাঢ় কাঠের ফ্রেমে সাঁটানো কাগজে লিখার মাধ্যমে রাজ্য বাসীকে জানানো হয়।
তবে কারো জন্ম মৃত্যুর ক্ষেত্রে আলাদা ভাবে এটি প্রকাশ করা হয়।
জন্মের ক্ষেত্রে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ
অলঙ্কৃত সোনার চিত্র ফলকের উপর ফ্রেমটি রাজপ্রাসাদের সামনের দিকে রেলিংয়ের ভেতরে স্থাপন করা হয়।
মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিঞ্জপ্তি প্রকাশ
লোহার রেলিংয়ের বাইরে সেট করা হয়।
ধন্যবাদ