জীবাশ্মবিদ পিটার ভ্র্যানস্কি গভীর অনুস্ধানের পর একটি হেটে চলা গাছের সন্ধান পেয়েছে।যেটির গতি মানুষের মতো দ্রুত না হলেও মানুষের মতোই হেটে চলে বলে জানা গেছে।
হেটে চলে যে গাছ:
উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় গভীর বনে চলা ফেরা করা গাছটি দেখা মেলে যার নাম ক্যাশাপোনা এটি চলমান পাম গাছ নামেও বেশ পরিচিত।গাছটির বৈঞ্জানিক নাম Socratea exorrhiza বা walking palm ।হেটে চলা গাছটির সন্ধান পাওয়া যায় ইকুয়েডর এর একটি গভীর বন ট্রপিকাল রেইন ফরেস্টে।স্লোভাটিয়ার উদ্ভিদ বিঞ্জানী এই আশ্চর্য জনক গাছটি নিয়ে গবেষণা করেছেন।চলুন জেনে নেই হেটে চলে যে গাছ

গাছটি যেভাবে এবং যেসব কারণে হেটে চলে:
জেনে নেওয়া যাক গাছটির হেটে চলার কারণ ও কৈাশল:
ক্যাশাপোনা গাছের হেটে চলার কারণ:
ব্রাতিস্লাভার স্লোভাক অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সে এর জীবাশ্মবিদ পিটার ভ্র্যানস্কি এই বনে পড়ে থেকে গবেষণা করেছেন এবং তাকে সহযোগিতা করেছে স্থানীয় গাইড থিয়েরি গার্সিয়া।পিটার ভ্র্যানস্কি বলেছেন, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর বনে ভুমি ক্ষয় একটি পরিচিত ঘটনা।এই ভূমি ক্ষয় গাছটি হেটে চলার কারণ তাছাড়া আরেকটি কারণ হলো বনটি গণ হওয়ায় পর্যাপ্ত সূর্যের আলো পায় না গাছটি তাই সূর্যের আলোর সন্ধানে গাছটি হেটে চলে।এই গাছটিকে খুবই সৈাখিন গাছ বলতে পারেন কারণ এই গাছ এর উপরে অন্য কোনো গাছ হেলে পড়লেও গাছটি তার জায়গা পরিবর্তন করে।এই সব কারণে গাছটি জায়গা পরিবর্তন করে টিকে থাকে।
ক্যাশাপোনা গাছটির হেটে চলার কৈাশল:
যখন ভুমি ক্ষয় হয় তখন গাছটির শিকড় এর মাটি নরম হয়ে যায় আর ঠিক তখনই ক্যাশাপোনা গাছ তার মেজিক দেখায় গাছটি নতুন শেকড় বের করে শক্ত মাটিতে নিজের অবস্থান নিশিচ্ত করে এবং নরম মাটির শিকড় সরিয়ে ফেলে।এইভাবে মূলত গাছটি হেটে চলে।
তার মতে কোনো কোনো গাছ দুই বছরে তার সম্পন্ন স্থান পরিবর্ত করে।
পাম গাছটি দৈনিক ২-৩ সেন্টিমিটার করে বছরে ২০ মিটার পর্যন্ত সড়ে যেতে পারে গাছটি।ইকুয়েডর বনের এই গাছটির উচ্চতা ১৫ -২০ মিটার এবং গোলাকার ডায়ামিটার প্রায় ১৬ সেন্টিমিটার।
ধন্যবাদ