যারা সোস্যাল মিডিয়া সাইট ব্যাবহার করেন তারা প্রায়ই লক্ষ করে থাকবেন বিভিন্ন সময়ে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এবং এই হ্যাশ ট্যাগ ব্যাবহারে আমরা অনেক ভুলও করে থাকি মূলত সেই জন্য এই আর্টিকেলটি লেখা।এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন হ্যাশট্যাগ কীভাবে কাজ করে? এবং হ্যাশট্যাগ এর সঠিক ব্যাবহার ও হ্যাশট্যাগ সম্পর্কে বিস্তারিত।আপনি যদি হ্যাশট্যা গ নিয়ে জানতে আগ্রহী হন তাহলে আপনার জন্য এই আর্টিকেলটি।চলুন বিস্তারিত জেনে নেই:
হ্যাশট্যাগ কী?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো লেখা বা শব্দের আগে (#) প্রতীকটি যুক্ত করায় নতুন আরেকটি ওয়েবপেইজ এবং লেখাটি যদি নীল বর্ণ ধারণ করে এবং সেই লেখাতে ক্লিক করলে যদি সেই লেখা ব্যাবহার করে করা সমস্ত পোস্ট একটি নতুন ওয়েবপেইজে হাজির হওয়ার এই প্রক্রিয়াকেই হ্যাশট্যাগ বলে।
যারা প্রোগ্রামিং বা ব্লগিং করেন তাদের প্রায় সবারই মেটাডাটা ট্যাগ নিয়ে ধারণা আছে এটিও মূলত মেটাডাটা ট্যাগ এর একটি ফর্ম।
হ্যাশট্যাগ কীভাবে কাজ করে?
হ্যাশট্যাগ এর ভুল ব্যাবহার – সঠিক ব্যাবহার:
এই হ্যাশট্যাগ ব্যাবহারে কিছু নিয়মনিতী রয়েছে যেগুলো জানি নাহ অথবা মেনে চলি নাহ।আমরা যদি হ্যাশট্যাগ ব্যাবহারে সঠিক নিয়ম না মেনে চলি তাহলে তাহলে আমাদের হ্যাশট্যাগটি ঠিকই নীল বর্ণ এবং মাউস নিলে পয়েন্টারও হবে কিন্তু দেখা যাবে সেটা কাজ করছে নাহ বা হ্যাশট্যাগ এর ওয়েব পেইজে দেখা যাবে নাহ।চলুন হ্যাশটেগ ব্যাবহারের নিয়ম গুলো জেনে নেই:
হ্যাশট্যাগ এর ভুল ব্যাবহার:
কমেন্ট বক্সে ব্যাবহৃত হ্যাশট্যাগ: আমরা অনেকেই কমেন্ট বক্স এর মধ্যে হ্যাশটেগ ব্যাবহার করি কিন্তু এটা জানি নাহ যে কমেন্ট বক্সে ব্যাবহৃত হ্যাশট্যাগ সেই শব্দ দিয়ে ব্যাবহৃত মোট হ্যাশট্যগ এর গণনায় ধরা হয় নাহ।তাই এটি না করায় ভালো।
প্রমাণ হিসেবে আপনারা হ্যাশট্যাগে ক্লিক করার পর হ্যাসট্যাগ এর পেইজে দেখবেন সেই পেইজে কমেন্ট বক্স এর কোনো হ্যাশট্যাগ নেই।

লেখাকে আকর্ষণীয় করা: অনেকেই লেখাকে আকর্ষণীয় করার জন্য হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করে থাকি এইটাও কিন্তু হ্যাশটেগ এর সঠিক ব্যাবহার হতে পারে নাহ।
পোস্ট পাবলিক না করে হ্যাশট্যগ ব্যাবহার: আমরা যারা হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করি তাদের মধ্যে অনেকেই আমাদের পোস্টটাকে (Friends) (Only me) অথবা অন্য কিছু দিয়ে রাখি এই ক্ষেত্রে আপনার হ্যাশট্যাগটি কাজ করবে নাহ।কারণ হ্যাশট্যাগ ব্যাবহার করলে অবশ্যই পবলিত পোস্ট করতে হবে।
হ্যাশট্যাগ এর সঠিক ব্যাবহার:
আপনি মনে করেন কোনো একটি হাদিস নিয়ে লিখতাছেন এবং বুঝতে পারতাছেন এটি আপনি এক দিনে এক পোস্টে লিখলে অনেক বড় এবং আপনার জন্য অনেক কষ্টসাধ্য তাই লেখাটার প্রথম অংশ আজকে পোস্ট করলেন এবং দ্বিতীয় অংশ পড়ে পোস্ট করবেন সেই ক্ষেত্রে আপনি আপনার লেখাটির সাথে সামঞ্জ্যস্য রেখে একটি #ট্যাগ ব্যাবহার করবেন যাতে করে আপনার পাঠকরা প্রথম অংশ পড়ার পর দিত্বীয় অংশ পড়তে সেই হ্যাশট্যাগে ক্লিক করলেই পেয়ে যায়।
প্রেক্টেক্যালি হ্যাশ ট্যাগ ব্যাবহার এর নিয়ম
1.হ্যাশট্যগ দেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে আপনার লেখাটি পাবলিক (Public) করে দিতে হবে।
2.আপনার দিতে চাওয়া হ্যাশট্যাগটি যদি একটি শব্দের হয় তাহলে সেই শব্দটির আগে #চিহ্ন ব্যাবহার করলে হবে (যেমন:#ইসলাম) কিন্তু যদি সেটি একাধিক শব্দের হয় তাহলে আপনাকে প্রখমে #চিহ্ন দিতে হবে এবং প্রতিটি শব্দের মধ্যে স্পেস না দিয়ে (_) এই চিহ্ন ব্যাবহার করতে হবে {যেমন: #I_love_muhammad_(sm)}
জনপ্রিয় হ্যাশ ট্যাগ ও এর কারণ:
#CupforBen এটি এমন একটি #ট্যাগ যার সাথে একটি অটিস্টিক শিশুর জন্ম মৃত্যু নির্ভর করে আছে।চলুন জেনে নেই কীভাবে এর সাথে একটি অটিস্টিক শিশুর জীবন জরিত আছে।
বি:দ্র: হ্যা শট্যাগ এর জন্ম নিয়ে বেশ মতবাদ রয়েছে ইন্টারনেটে।
১৪ বছর বয়সী অটিস্টিক শিশুটির নাম হচ্ছে বেন।বেন এর পানি খাওয়ার জন্য ব্যাবহার করতো দুই হাতল বিশিষ্ট একটি কাপ এবং এটাই তার প্রিয় কাপ হওয়ায় অন্য কোনো কাপ দিয়ে সে পানি পান করতো নাহ।একটি কাপ নষ্ট হলেও তার বাবা একই রকম আরেকটি কাপ এনে দিতো।কিন্তু কোনো এক সময় সেই কাপটি কোম্পানি তৈরী করা বন্ধ করে দেই এবং এতেই নামে বিপর্যয়।
বেন এর কাছে থাকা কাপটি যখন নষ্ট হয়ে যায় তখন বেন এর বাবা আর কোথাও এই রকম কাপ খুজে পায় নাহ আর এদিকে বেন এই কাপ না পেয়ে পানি খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং এক সময় তাকে পানি শূন্যতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় এরপর বেন এর বাবা এক টুইটে সমস্ত বিষয় লিখেন সময়টি ছিলো ২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর।সেই টুইটটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।এবং প্রস্তুত কারক কোম্পানির নজর এড়ায়নি টুইটটি।এরপর প্রস্তুকারক কোম্পানিটি বুজতে পারে তাদের এই কাপটি শুধু কাপ নয় একটি শিশুর জীবনও বটে।তাই তারা নিশ্চিন্ত করেছে যতদিন প্রয়োজন হবে বেন এর জন্য হলেও এই বাপ তারা সরবরাহ করবে।
ধন্যবাদ