বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বড় ভিডিও শেয়ারিং সাইট হলো ইউটিউব যেখান থেকে আপনি প্রয়োজন মতো যেকোনো বিষয় নিয়ে খুব সহজে জানতে পারবেন এমন কি ইনকাম ও করতে পারবেন।সেজন্য আপনাকে অবশ্যই একটি অ্যাকাউ্ন্ট/ চ্যানেল থাকতে হব।যদি ভিডিও দেখতে চান তাহলে আপনি জি-মেইল/ গুগল অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করে নিলেই হচ্ছে কিন্তু যদি ইনকাম করতে চান তাহলে আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন হবে।তাই এই পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করব কীভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব খুলবেন সে বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
Alexa রেংকিং এ গুগল এর পরই ইউটিউব এর স্থান।বিশ্বের দ্বিতীয় ওয়েবসাইট হচ্ছে ইউটিউব।
ইউটিউব চ্যানেল কয় প্রকার?
ইউটিউবে দুই ভাবে চ্যানেল করা যায় এটা হয়তো অনেকেই জানেন না।বিশেষ করে যারা নতুন তারা।ইউটিউব অ্যাকাউন্ট দুই ধরণের একটি পার্সোনাল অন্যটি ব্যান্ড অ্যাকাউন্ট।
কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন – ইউটিউব চ্যানেল খোলার উপায়
ইউটিউব একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে আপনার একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন হবে। সেজন্য আপনি যে মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলবেন সেটি লগ ইন করুন অথবা যদি চান নতুন করে জিমেইল খুলবেন তাহলে অন্য একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলে লগইন করুন।তারপর নিচের স্টেপ গুলো ফলো করুন।
(বি:দ্র: নিচের স্কিনশর্ট গুলো ডেস্কটপ ভিউ থেকে নেয়া হয়েছে)
1. প্রথমে আপনি যে ইমেইল দিয়ে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে যাচ্ছেন সেই মেইলটি লগইন করুন
2. তারপর youtube.com সাইটে চলে যান।
3. এরপর ডান পাশের উপরে চ্যানেল আইকন এর আইকনে ক্লিক করে Create a channel অপশনে এ ক্লিক করুন।

এবার আপনি নতুন একটি পপ-আপ দেখতে পাবেন যেটাতে লেখা থাকে How you’ll appear. এখানে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম টি দিয়ে দিন।তারপর youtube channel অপশনে ক্লিক করুন।

উপরের স্টেপগুলো সম্পূর্ণ হলে যদি নিম্নোক্ত ইমেজ এর মতো দেখতে পান তাহলে বুঝবেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল সঠিকভাবে খোলা হয়েছে।

এটি একটি পার্সোনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলা হল।
এখন আলোচনা করব কিভাবে আপনি একটি ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন।
চলুন ব্রান্ড ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে এর সুবিধা গুলো জেনে নেই
ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল এর সুবিধা – youtube channel
আপনি খুব সহজেই ই-মেইল পরিবর্তন করতে পারবেন।যেটা পার্সোনাল অ্যাকাউন্টে পারবেন নাহ।
আরেকটি সুবিধা হল ব্রান্ড অ্যাকাউন্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার ব্রান্ড অ্যাকাউন্টটি কেউ কখনো হ্যাক করতে পারবে না।কারণ এখানে দুইটি ইমেইল দেয়া থাকবে একটি প্রাইমারি আরেকটি ম্যানাজার অ্যাকাউন্ট।আপনি ম্যানাজার অ্যাকাউন্ট দিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর সবকিছু করতে পারবেন।যখন আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হবে তখন আপনি প্রাইমারি অ্যাকাউন্ট দিয়ে আবার ঠিক করে ফেলতে পারবেন কারণ প্রাইমারি অ্যাকাউনটি ডিলিট করতে একদিন সময় লাগবে।সেই একদিন এর মধ্যে যদি আপনি ঠিক না করেন তা হলে আর অ্যাকাউন্টটি ফেরত পাবেন নাহ।
ব্যান্ডেড ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম -youtube channel
1.ব্র্যান্ড ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য প্রথমে আপনি চলে যান youtube.com
2.তারপর এই লিঙ্কে ক্লিক করুন (https://www.youtube.com/account) অথবা ইউটিউবে সেটিং অপশনে চলে যান।
3. তারপর Create new account অপশনে ক্লিক করুন।
4. কিভাবে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নামটি দিয়ে দিন।সমস্যা হলে নিচের স্কিনশটটি দেখতে পারেন।

5.এরপর “আমি বুঝেছি” লেখাটি টিক মার্ক করুন। আপনার এখানে “I Understand” আসতে পারে।
আপনি চাইলে পূর্বের ইউটিউব চ্যানেলের নামটি রাখতে পারেন youtube channel
ইউটিউব চ্যানেল এর নাম নির্বাচন পদ্ধতি
ইউটিউব এর নাম নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।এটি নিয়ে অনেকেরই দুশ্চিন্তা থেকে যায় যে তার ইউটিউব এর কি নাম দিলে ভালো হবে।ইউটিউব নাম নির্বাচন করার আগে আপনি ভাবুন কি বিষয়ে আপনি ভিডিও দিবেন আপনার ভিডিও টপিক কী? সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে আপনি নাম দিতে পারবেন।চেষ্টা করবেন যাতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর নামটি সম্পূর্ণ নতুন একটি নাম হয়।কারণ সেই নামে যদি অন্য কোনো চ্যানেল থাকে আর যদি সেই চ্যানেলে যদি আপনার থেকে বেশি ভিউ থাকে বেশি লাইক কমেন্ট সাবস্ক্রাইভ থাকে তাহলে দেখা যাবে ঐ নামের চ্যানেল ইউটিউবে আগে আসবে ভিডিও আগে আসবে পরে আপনারটা।তাই বলে আপনি যে ঐ নামে আর ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারবেন নাহ তা কিন্তু নই।
ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ বাড়াবেন কিভাবে?
ভিউ বাড়ানোর জন্য আপনার ভিডিওতে একটি আকর্ষণীয় থামনেল দিন যাতে করে মানুষ দেখে ক্লিক করে।ভিডিও ডিসক্রিপশন সুন্দর করে দিন।ভিডিওর সাথে সামঞ্জস্য হ্যাশট্যাগ যুক্ত করুন।
ইউটিউবে কীভাবে ভিডিও র্যাংক হয়:
প্রতিটা সার্চ ইন্জিন যেমন ধরেন গুগল।গুগলে যেমন কনটেনকে বা পোস্টকে ফাস্ট পেজে দেখানোর জন্য কিছু অলগারিদম মেনে চলে ইউটিউবও ঠিক তেমনি তাদের নিজস্ব নিয়ম নীতি মেনে চলে।
সতর্কতাঃ
ইউটিউব চ্যানেল খোলার আগে প্রথমেই আপনি ইউটিউব এর সমস্ত নিয়ম গুলো পরে নিবেন।ভুলেও ভিডিও কপিরাইট করবেন না।কপিরাইটের কারণে আপনি আপনার মূল্যবান একাউন্টটি হারাতে পারেন।সেজন্য অন্য কারো ভিডিও আপনার চ্যানেলে দিবেন না।
আমাদের শেষ কথা youtube channel
এই আর্টিকেলে ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।আপনাদের সুবিধাতে কীভাবে ভিডিও র্যাং ক করাবেন কীভাবে ইউটিউব চ্যানেল এর নাম নির্বাচন করবেন সেই বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছি আমার নিজ অভিঞ্জতা থেকে।সকল কে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।