Mediatek Vs Snapdragon

স্ন্যাপড্রাগন ও মিডিয়াটেক এর পার্থক্য – Mediatek Vs Snapdragon

টেকনোলজি মোবাইল

হ্যালো বন্ধুগণ, আসসালামু আলাইকুম

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বহুল ব্যাবহ্রত একটি ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস হলো স্মার্টফোন।আর এই স্মার্টফোন এর মধ্যে থাকে চিপসেট যার উপর নির্ভর করে স্মার্টফোন এর সমস্ত কার্যক্রম ও পারফরমেন্স।আর এই চিপসেটেই থাকে প্রসেসর, গ্রাফিক্স, ওয়্যারলেস কানেকশন সিস্টেম, ব্লুটুথ সহ মোবাইল এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় চিপ।

বর্তমানে বাজারে বেশ কয়েক প্রকার চিপসেট পাওয়া গেলেও প্রতিযোগিতা আর আলোচনার শীর্ষে থাকে মূলত Mediatek আর Snapdragon চিপসেট দুইটি।

তাহলে চলুন জেনে নেই কোন চিপসেটটি সবচেয়ে ভালো এবং এটির ভালো হওয়ার কারণ:

মিডিয়াটেক (Mediatek):

মিডিয়াটেক চিপসেট নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান হলো তাইওয়ান ভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মিডিয়াটেক।মিডিয়াটেক প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে ১৯৯৭ সালের ২৮ শে মে।

মিডিয়টেক গবেষণা করে না বরং এরা বিভিন্ন অংশ কিনে বিক্রি করে।মিডিয়াটেক প্রসেসর এর কোর সংখ্যা ২,৪,৮,১০ এখন স্ন্যাপড্রাগন এর সাথে পাল্লা দিয়ে ১২ কোরের প্রসেসর এর পরীক্ষা চালাচ্ছে।

স্ন্যাপড্রাগন (Snapdragon):

১৯৮৫ সালে যাত্রা শুরু করা আমেরিকার মাল্টিন্যাশন্যাল ভিত্তিক সেমিকন্ডাক্ট, সফটওয়্যার এবং ওয়্যারলেস প্রযুক্তি তৈরী করা কোম্পানি কোয়লকম, স্ন্যাপড্রাগন টিপসেট তৈরী করেন।বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলো এমনকি স্যাসসাং ও এই চিপসেট ব্যাবহার করছে।

স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর কয়েকটি কোরে বিন্যাস্ত হয় সেগুলো হলো Dual Core (২ টি কোর), Quad Core(৪টি কোর), Hexa Core(৬টি কোর), Octa Core(৮টি কোর) কিন্তু সবচেয়ে পাওয়ারফুল নতুন ভার্সন হলো SD 855+

পড্রাগণ ও মিডিয়াটেক প্রসেসর এর মধ্যে পার্থক্য:

উৎপাদন স্থান:

১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করা তাইওয়ানভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মিডিয়াটেক প্রসেসর তৈরী করে অন্য দিকে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর এর উৎদ্ভাবক।

প্রসেসর কোর:

মিডিয়াটেক আর স্ন্যাপড্রাগন উভয়ই মাল্টিকোর প্রসেসর তৈরী করে।প্রসেসর এর কোরের সংখ্যা দেখার আগে কর্মক্ষমতা দেখে নিবেন।

সিপিই এবং জিপিইউ:

স্ন্যাপড্রাগন ও মিডিয়াটেক প্রসেসর এর সিপিউ এর মধ্যে তেমন পার্থক্য লক্ষ না করা গেলেও ভালো গ্রাফিক্স প্রদানের কারণে জিপিউ এর দিক থেকে স্ন্যাপড্রাগন অনেক এগিয়ে।

ব্যাটারি:

মিডিয়াটেক ও স্ন্যাপড্রাগন এর মধ্যে আরেকটি তফাৎ লক্ষ করা যায় ব্যাটারির মধ্যে কারন মিডিয়াটেকের চেয়ে স্ন্যাপড্রাগন কম ব্যাটারির পাওয়ার খরচ করে।

স্মার্টফোন হিটিং হওয়া:

মিডিয়াটেক প্রসেসর এর ব্যাবহার কারিদের মধ্যে একটি বড় অভিযোগ হলো ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া আর আমরা জানি ফোন গরম হওয়াতে বিস্ফোরণ এর সম্ভবনা থাকে ইতেমধ্যে বিশ্বে একাধিকবার এই ঘটনা ঘটেছে।স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট এই দিক থেকেও এগিয়ে কারণ স্ন্যাপড্রাগন চিপসেট ব্যাবহ্রত স্মার্টফোন গরম হয় না।আর হলেও খুব কম।

কর্মক্ষমতা:

স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর সবচেয়ে ভালো পারফরমেন্স দেয় অন্যদিকে মিডিয়াটেকও খারাপ না।চিপসেট দুইটি ভারী কাজ, গেমিং করতে সক্ষম হলেও স্ন্যাপড্রাগন খুব ভালো পারফরমেন্স দেয় কম র‌্যামে যেটি মিডিয়াটেক দ্বারা সম্বব না মিডিয়াটেক এর ক্ষেত্রে র‌্যাম কম হলে ভালো কর্মদক্ষতা দেখাতে ব্যার্থ হয়।

সুতরাং উপরের আলোচনা থেকে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারি যে স্ন্যাপড্রাগণ সব দিক থেকে এগিয়ে তবে মিডিয়াটেকও ভালো।

ধন্যবাদ

www.learningdiagram.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *